বরিশালে নির্মিতব্য ক্যান্সার হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারী) সকালে তিনি হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ ধীরগতির কারনে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে তিনি নগরীর আমানতগঞ্জে অবস্থিত সুকান্ত বাবু হাসপাতালের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশীদ আলম, সিভিল সার্জন ডাঃ মারিয়া হাসান, হাসপাতালটির পরিচালক ডাঃ সাইফুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ১২টায় মন্ত্রী শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেন। এসময় রোগীদের মেঝেতে অবস্থান দেখে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বরিশাল ও কুয়াকাটা সফর কে কেন্দ্র করে শেবাচিম এর কতিপয় চিকিৎসকরা আট লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব ডাক্তারগন গত একসপ্তাহ যাবৎ এ চাঁদাবাজি করে বলে জানা গেছে। চাঁদাবাজির বিষয়ে কেউ মুখতে নারাজ। তবে এ চাঁদাবাজির বিষয়টি সকলের মুখে মুখে।
হাসপাতালটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ জাহিদ মালেক বলেন, সুকান্ত বাবু শিশু হাসপাতাল খুবই সুন্দরভাবে তৈরি হয়েছে। সেখানে মা ও শিশুদের ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা হচ্ছে, সব ধরনের ব্যবস্থা সেখানে থাকবে। আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে সেবার জন্য হাসপাতালটি খুলে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ৮টি বিভাগের মতো বরিশালেও ক্যান্সার, কিডটি এবং হার্টের জন্য হাসপাতাল হচ্ছে, সেটি আমি পরিদর্শন করেছি। সেটির কাজের গতি খুবই স্লো, এর কাজ অগ্রগতি লাভের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। এই হাসপাতালটি শুরু হলে ক্যান্সার, কিডনি এবং হার্টের রোগীরা খুব সহযেই উন্নত চিকিৎসা পাবেন, আর ঢাকায় যেতে হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, ঐতিবাহী শের-ই-বাংলা মেডিকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে ঘুুরে দেখলাম, যেটি দেখলাম সেটা ভালো মনে হলো না, কারন অনেক বেশি রোগী, ফ্লোরে পা ফেলার জায়গা নেই। নতুন একটি মেডিসিন ইউনিট করা হয়েছে, সেখানেও অনেক রোগী। ফ্লোরে যেভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সেটা আমাদের কাম্য নয়। আমরা চাই যে প্রতিটি রোগী বেডে থেকে সসম্মানে চিকিৎসা নিবে, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার, আমার সেটি চেষ্টা করছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে আমরা বরিশালসহ ৮টি বিভাগের পুরনো প্রতিটি হাসপাতালে ১হাজার বেড বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছি, কিন্তু এখন দেখছি এখানে আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এখানে নতুন অবকাঠামোর প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি।
পরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে এসময় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব, সিভিল সার্জন ডাঃ মারিয়া হাসান, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সাইফুল ইসলাম সহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উর্দ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।