নৌকার মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে ঘাট ও টার্মিনাল দখল মুক্ত শুরু করেছে সাদিক বিরোধীরা। গত চার দিনে বরিশালের রুপাতলী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন থ্রি হুইলার স্ট্যান্ড ও মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড মুক্ত করেন জেলার মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের দুই নেতা।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বরিশাল মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম মানিক ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সুমন মোল্লা বলেন, থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ড ও মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করত মীর রনি। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।
এছাড়া নগরীর স্পিডবোট ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ করেছে আওয়ামী লীগ কর্মী সাদ্দাম হোসেন শাহ ও তার অনুসারীরা। রোববার থেকে দলবল নিয়ে ট্রিপ প্রতি ১০০ টাকা করে নেওয়া বন্ধ করে দেন তারা। সাদ্দাম জানান, উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুুল আমাদের মালিকানাধীন ১০টি স্পিডবোট বন্ধ করে দেয় এখানে। তারপর থেকে আমরা মানবেতর জীবনযাপন শুরু করি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা ঘাটে অবস্থান নিয়েছি। এখানকার ১৫০টি বোটমালিকের একটাই দাবি, চাঁদাবাজ মুক্ত হোক স্পিডবোট ঘাট।১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস বলেন, সাত মাস ধরে আমাদের বোট বন্ধ করে দিয়েছেন নিরব হোসেন টুটুল।চাঁদাবাজ মুক্ত করা হয় স্পিডবোট ঘাট।
এ বিষয়ে সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী নিরব হোসেন টুটুুল বলেন, স্পিডবোট ঘাটে আমার কোনো বিষয় নেই। এসব স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন স্থানে সাদিক আবদুল্লাহর সমর্থকদের শো-ডাউন দিতে দেখা গেছে ।
অনেকেই নৌকার মনোনয়ন পাওয়া আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে শোডাউন করছে।এদিকে দীর্ঘদিন রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে থাকা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতারা কর্মীদের জড়ো করে মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, নগরীর কোনো স্ট্যান্ডে কোনো প্রকার চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। সে লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশনা অনুযায়ী চৌকশ কর্মকর্তারা স্ট্যান্ডগুলোতে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছেন।