বরিশালে হিজবুত তাওহীদ ও চরমোনাই পীরের অনুসারীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। আজ শনিবার বিকেলে নগরের শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে চরমোনাই পীর অনুসারীদের বাধার মুখে হিজবুত তাওহীদের বিভাগীয় কর্মীসভা পণ্ড হয়ে গেছে। রাতে কাশীপুর বাজারে হিজবুত তাওহীদ অফিস ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন পীর অনুসারীরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, শনিবার শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে হিজবুত তাওহীদের বিভাগীয় কর্মী সমাবেশ ছিল। তা পণ্ড করার জন্য আগে থেকেই সংগঠিত হন চরমোনাই পীর অনুসারী। তাদের শক্ত অবস্থানের মুখে সমাবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে হিজবুত তাওহীদ। পরে হিজবুত তাওহীদ সদর রোডের উত্তর প্রান্তে মানববন্ধনের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপরে হিজবুত তাওহীদ অনুসারীরা কাশীপুর বাজার সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যান। এ খবর পেয়ে পীর অনুসারীরা কাশীপুর বাজারে জমায়েত হয়ে দলীয় কার্যালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা চালায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন রাত সাড়ে ৮টায় জানান, তিনি বিপুল সংখ্যক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছেন। পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেন ওসি।
হিজবুত তাওহীদের বিভাগীয় আমীর আল-আমিন সবুজ রাত সাড়ে আটটায় জানান, তারা দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। পুলিশ তাদের কার্যালয় ত্যাগ করার জন্য চাপ দিচ্ছে। অদূরে কাশীপুর বাজারে চরমোনাই পীরের অনুসারীরা বিক্ষোভ করছেন।
আল আমিন সবুজ জানান, শিল্পকলা মিলনায়তনে কর্মীসভা করার জন্য তারা পুলিশ প্রশাসনের পূর্ব অনুমতি নেন। কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার জন্য চরমোনাই অনুসারীরা সেখানে পাল্টা অবস্থান নেয়। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের অনুরোধে তারা শিল্পকলা মিলনায়তন থেকে ফিরে আসেন। বিভাগের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিলে সেখানে বাধা দেন চরমোনাই পীরের লোকজন।
পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশালের মুখপাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন টিটু বলেন, হিজবুত তাওহীদ ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছেন। তারা ইসলামের শত্রু। তাই বরিশালের সব আলেম-ওলামারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হিজবুত তাওহীদকে সর্বত্র প্রতিহত করা হবে। এজন্যই আলেম-ওলামারা শিল্পকলা মিলনায়তন ও কাশীপুর বাজারে অবস্থান নেন।