প্রথমে আমির কুঠির, তারপর নাজির মহল্লা, রাতে কাটপট্টি, এবার পলাশপুর এলাকা। এলাকাবাসীর উদ্যোগে নিজেরাই করছেন ণকডাউন। বাশ ভ্যান গাড়ি বা ঠেলাগাড়ি ফেলে লকডাউন করা হচ্ছে এসব এলাকা। বাইরের কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। যুবকরা রয়েছেন লাঠি হাতে পাহারায়।
গতকাল ঘোষণা দিয়ে এলাকার যুবকরা নগরীর আমির কুঠির এলাকা লকডাউন করে দেয়।। তারপর নাজির মহল্লাও একইভাবে বাশ দিয়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এ নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী।
কিছুটা উত্তেজনাও ছড়ায়। এর রেশ কাটতে না কাটতেই রাতে সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়ক কাটপট্টিতে স্থানীয়রা সড়ক একইভাবে বন্ধ করে দেয়। যদিও সকালে আবার তা খুলে দেয়া হয়। রোববার পলাশপুর এলাকাও লকডাউন করা হয়। জানা গেছে বরিশাল নগরীর ৫নং ওয়ার্ড পলাশপুরের ৩নং গলির রিকসা চালক মিন্টুর বাসায় নারায়নগঞ্জ থেকে আসা নিকটতম আত্মীয় আশ্রয় নেয়ার কারনে এলাকার ভিতরে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিতর করোনা আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় যুবক সদস্যরা পলাশপুরের ৩নং গলি থেকে শুরু করে প্রায় কিলোমিটার পথে বহিরাগতদের চলাচল বন্ধ করা সহ সড়কের গলির মুখ বন্ধ করার মাধ্যমে লকডাউন করে দিয়েছে।
সারাদিনই আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী নগরজুড়ে টহল দিয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের না হবার নির্দেশ দিচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছে। করা হচ্ছে জরিমানা। কিন্তু পুুলিশ সরে যেতেই কিছু মানুষ বের হচ্ছে রাস্তায়। ফলে ভাইরাস সংক্রমিত হবার আশংকা দেখা দিচ্ছে। আর এ কারনেই এলাকার যুবকরা এবার রাস্তায় নেমেছে। কার হচ্ছে স্ব উদ্যোগে লকডাউন।
স্ব উদ্যোগে লক ডাউনের ঘটনা পুলিশ পজেটিভ হিসেবেই গ্রহন করছে। পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুউদ্দিন খান (বিপিএম বার) বলেন, যদি মানুষকে ঘরে আটকে রাখার জন্য এ লকডাউন হয়, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। এখন সবাইকে ঘরে থাকতে হবে জীবন বাচাঁতে হলে। পুলিশের একার পক্ষে সচেতনতা সৃষ্টি সম্ভব নয়।