মামুনুর রশীদ নোমানী : বরিশালের উজিরপুরে পঞ্চগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল আলিম জাল বি.পি.এড (শারীরিক শিক্ষা) জাল সনদ দিয়ে দেড়যুগ ধরে শিক্ষকতা করছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হোসনে আরা রায়হান যাচাই করে ওই শিক্ষকের বিপিএড সনদটি জাল এবং আইনগত ব্যবস্থা নেবার জন্য স্কুল ম্যানেজিং কমিটির কাছে পত্র প্রেরন করেছেন।
সূত্র থেকে জানাগেছে সম্প্রতি পঞ্চগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ শাহে আলম সরদার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিপিএড সনদের বৈধতা যাচাই করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন করলে উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ( সনদ শাখা ) স্মারক নং ৪৪৯/২০০৫/৬৫৬৫ পত্রের মাধ্যমে জানান যে শিক্ষক আব্দুল আলিমের বিপিএড সনদ যার রোল নম্বর ২১৭২ রেজিঃ নং ৫১৩৭৮ শিক্ষাবর্ষ ১৯৯৯- ২০০০ বি.পি.এড পরীক্ষা ২০০২ ফলাফল দ্বিতীয় শ্রেনি সনদটির তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী সঠিক নয়। এটি একটি জাল সনদ এবং তার ( শিক্ষক আব্দুল আলিম ) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অবহিত করা হল।
এ বিষয়ে পঞ্চগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শাহে আলম সরদার বলেন শিক্ষক আব্দুল আলিম জাল সনদে ২০০৪ সালে নারায়নপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে চাকুরী শুরু করে কিছুদিন শিক্ষকতা করে সেখান থেকে চাকুরিচ্যুত হলে ২০১৫ সালে তৎকালীন পঞ্চগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিকে ম্যানেজ করে উৎকোচের বিনিময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
পরবর্তীকালে এ বিষয়ে প্রতিবাদ করে কোন ফল পাইনি তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তার সনদের বিষয়ে আবেদন করলে কতৃপক্ষ যাচাই বাছাই করে জাল সনদের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এ বিষয়ে পঞ্চগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাওলাদ হোসেন নাসিম ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
পঞ্চগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (অভিযুক্ত) আব্দুল আলিম বিষয়টি তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য করা হয়েছে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার কথা বলেন।