ববির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল নির্মাণ শেষ হলেও উদ্বোধন হয়নি
প্রকাশ: ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৩:৪৮ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
এক বছর আগে নির্মাণ শেষ হলেও উদ্বোধন হয়নি।ছাত্রীদের কাছ থেকে ৫ মাস আগে আবেদন নেওয়া হয়।মেয়াদের শেষ সময়ে উপাচার্য (ভিসি) প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করাতে চান।
এক বছর আগে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের। ঝকঝকে হলটিতে প্রায় ৬০০ ছাত্রীর আসন বণ্টনের জন্য পাঁচ মাস আগে আবেদনও নেওয়া হয়; কিন্তু সেখানে ছাত্রীদের ওঠার দিনক্ষণ এখনো অনিশ্চিত।
কবে নাগাদ হলটি খুলে দেওয়া হবে, তা কেউ জানেন না। এ নিয়ে ছাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, মেয়াদের শেষ সময়ে উপাচার্য (ভিসি) মো. ছাদেকুল আরেফিন প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে হলটি উদ্বোধন করাতে চান। তাই এই অপেক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের তথ্যমতে, প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২২ সালের মার্চে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের কাজ শেষ হয়। এর আগে ছাত্রীনিবাসের কাজ নিজস্ব ঠিকাদারকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য একের পর এক পুনঃ দরপত্র আহ্বান করা হয়। যে কারণে হলের নির্মাণকাজ শেষ হতেও বিলম্ব হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ববির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপপরিচালক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, তিনি প্রকল্পের দায়িত্ব পান ২০২২ সালের ২৩ মে। তার আগেই হলটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে সুনসান নীরবতা। ভেতরে কয়েকজন ছাত্রী ঘোরাঘুরি করছেন। তাঁরা জানান, হলে উঠতে আবেদন করেছেন; কিন্তু এত ছোট বিছানায় দুজন গাদাগাদি করে থাকা সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ভূমিকা সরকার বলেন, পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ছাত্রীদের মেসে থাকা ব্যয়বহুল। নতুন হলের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় এক বছর অথচ খোঁড়া যুক্তিতে ছাত্রীদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।
মৃত্তিকা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা রহমান বলেন, তাঁরা পাঁচ মাস আগে এই হলে আসন পাওয়ার জন্য মৌখিক পরীক্ষাও দিয়েছেন। হলটিতে বিছানা, ফ্যান, লাইট, আয়া, বুয়া, স্টাফ, প্রভোস্টও আগে থেকেই অলস সময় কাটাচ্ছেন। ছাত্রীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট তাসনুভা হাবিব জিসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে হলটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। উদ্বোধন হলেই আবেদন করা ছাত্রীদের হলে তুলবেন। তবে কবে নাগাদ উদ্বোধন হতে পারে তা তাঁর জানা নেই।
প্রভোস্ট তাসনুভা বলেন, আসলে ওদেরও (ছাত্রী) অনেক কষ্ট হচ্ছে; কিন্তু উদ্বোধন না হলে তো হলে ছাত্রীদের জায়গা দেওয়া যাবে না। এ হলে ডাবলিং করে ছয় শতাধিক ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ছাদেকুল আরেফিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হলটি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তারিখ চেয়েছেন। মন্ত্রণালয় যেদিন প্রধানমন্ত্রীর শিডিউল দেবে সেদিন উদ্বোধন করে খুলে দেওয়া হবে।
খান রফিক, বরিশাল
এক বছর আগে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের। ঝকঝকে হলটিতে প্রায় ৬০০ ছাত্রীর আসন বণ্টনের জন্য পাঁচ মাস আগে আবেদনও নেওয়া হয়; কিন্তু সেখানে ছাত্রীদের ওঠার দিনক্ষণ এখনো অনিশ্চিত।
কবে নাগাদ হলটি খুলে দেওয়া হবে, তা কেউ জানেন না। এ নিয়ে ছাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, মেয়াদের শেষ সময়ে উপাচার্য (ভিসি) মো. ছাদেকুল আরেফিন প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে হলটি উদ্বোধন করাতে চান। তাই এই অপেক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের তথ্যমতে, প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২২ সালের মার্চে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের কাজ শেষ হয়। এর আগে ছাত্রীনিবাসের কাজ নিজস্ব ঠিকাদারকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য একের পর এক পুনঃ দরপত্র আহ্বান করা হয়। যে কারণে হলের নির্মাণকাজ শেষ হতেও বিলম্ব হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ববির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপপরিচালক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, তিনি প্রকল্পের দায়িত্ব পান ২০২২ সালের ২৩ মে। তার আগেই হলটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে সুনসান নীরবতা। ভেতরে কয়েকজন ছাত্রী ঘোরাঘুরি করছেন। তাঁরা জানান, হলে উঠতে আবেদন করেছেন; কিন্তু এত ছোট বিছানায় দুজন গাদাগাদি করে থাকা সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ভূমিকা সরকার বলেন, পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ছাত্রীদের মেসে থাকা ব্যয়বহুল। নতুন হলের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় এক বছর অথচ খোঁড়া যুক্তিতে ছাত্রীদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।
মৃত্তিকা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা রহমান বলেন, তাঁরা পাঁচ মাস আগে এই হলে আসন পাওয়ার জন্য মৌখিক পরীক্ষাও দিয়েছেন। হলটিতে বিছানা, ফ্যান, লাইট, আয়া, বুয়া, স্টাফ, প্রভোস্টও আগে থেকেই অলস সময় কাটাচ্ছেন। ছাত্রীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট তাসনুভা হাবিব জিসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে হলটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। উদ্বোধন হলেই আবেদন করা ছাত্রীদের হলে তুলবেন। তবে কবে নাগাদ উদ্বোধন হতে পারে তা তাঁর জানা নেই।
প্রভোস্ট তাসনুভা বলেন, আসলে ওদেরও (ছাত্রী) অনেক কষ্ট হচ্ছে; কিন্তু উদ্বোধন না হলে তো হলে ছাত্রীদের জায়গা দেওয়া যাবে না। এ হলে ডাবলিং করে ছয় শতাধিক ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, হলটি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তারিখ চেয়েছেন। মন্ত্রণালয় যেদিন প্রধানমন্ত্রীর শিডিউল দেবে সেদিন উদ্বোধন করে খুলে দেওয়া হবে।