বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:২৯ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
মোঃ জহিরুল ইসলাম,কুয়কাটাঃ- পটুয়াখালী জেলার উপকূলীয় বন বিভাগের আয়োজনে আজ (শুক্রবার ১০/০৯/২০২১ইং) সকাল ১০ টায় ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের মিলনায়তনে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অবহিত করণসহ সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ডলফিন, তিমি,কচ্ছপ,কুমির, শুশুক ইত্যাদি রক্ষার্থে জনসচেতনতা মূলক সভার আয়োজন করা হয়।
সভার সভাপতিত্ত করেন,মোঃ তরিকুল ইসলাম,সহকারী বন সংরক্ষক উপকূলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালী। সভায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তায় করনিয় প্রামাণ্যচিত্র তুলে ধরেন অসিম মল্লিক,বন্যপ্রাণী পরির্দশক ঢাকা, তিনি বলেন বন্যপ্রাণী প্রকৃতির আধার রক্ষার দায়িত্ব আপনার আমার সবার। বন্যপ্রাণী শিকার, ধরা,মারা,ক্রয়-বিক্রয়,পাচার,দখলে রাখা বা খাওয়া দন্ডনীয় অপরাধ। সংবিধানের ১৮ক’ ধারা অনুযায়ী- ”রাষ্ট্রের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পাদ জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি,বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন”। “বন্যপ্রানী ( সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০২১অনুযায়ী” বন্যপ্রাণী শিকার,ধরা,মারা,ক্রয়বিক্রয়, পাচার দখলে রাখা বা খাওয়া দন্ডনীয় শাস্তি বা দন্ড সর্বোচ্চ ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথকা সর্বোচ্চ ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড।
বাঘ বা হাতি হত্যায় সর্বোচ্চ ১২ (বার) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১৫ (পনের) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড। চিতাবাঘ,লাম চিতা,উল্লুক,সাম্বার হরিণ, কুমির, ঘড়িয়াল,তিমি বা ডলফিন হত্যা করলে সর্বোউচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড। দেশিয় পাখি বা পরিযায়ী পাখি শিকার, হত্যা,আটক,ক্রয়-বিক্রয় বা পরিবহন সর্বোচ্চ ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,শাহীনা পারভীন সীমা,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কলাপাড়া উপজেলা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আনসার উদ্দিন মোল্লা, চেয়ারম্যান ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ, অসিম মল্লিক,বন্যপ্রাণী পরির্দশক ঢাকা, রুমান ইমতিয়াজ তুষার, সভাপতি ডলফিন রক্ষা কমিটি কুয়াকাটা,সাগরিকা সৃতি,গবেষক ইকোফিস -২।
এ সময় ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তায় সব ধরনের জলজ স্তান্যপায়ী প্রাণী তিমি,ডলফিন, হাঙ্গর,শাপলাপাতা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং এদের রক্ষায় আমাদের জেলেদের সচেতন করতে হবে।
সাগরিকা সৃতি,গবেষক ইকোফিস -২,তিনি বলেন সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের স্থানীয় ভাবে আরো বেশি সচেতন হতে হবে সমুদ্রে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে নয়তো পরিবেশের বির্পযায় ঘটবে।
প্রধান অতিথি শাহীনা পারভীন সীমা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের সবার পরিবেশ বান্ধব হতে হবে এবং পারিবারিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যপ্রণী রক্ষায় ছোট বড়ো সবাইকে সচেতন করতে হবে সেই সাথে এদের ধরা,মারা,ক্রয়বিক্রয় থেকে বিরতি থাকতে হবে। বন্যপ্রাণী ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করতে সরকারি বেসরকারী সকল সংগঠন গুলোর প্রতি আহবান জানান তিনি ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বায়েজিদ বোস্তামী,জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বন ভবন আগারগাঁও ঢাকা।