‘প্রেমিকা’কে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
প্রকাশ: ২৪ মার্চ, ২০২৩, ৮:০৮ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
ধর্ষণের অভিযোগে ‘প্রেমিকা’র মামলায় পাবনার ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম শাওনকে গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। শুক্রবার (২৪ মার্চ) ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার দিবাগত গভীর রাতে শাওনের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে এ মামলা করেন তার প্রেমিকা।
ছাত্রলীগ নেতা শাওন শহরের ঈদগাহ রোডের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রেমিকা দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও শাওন বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যার পর ঈদগাহ রোডে শাওনের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দেন প্রেমিকা। এ সময় ওই বাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করতে যান ভুক্তভোগী। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও শাওন রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ দুজনকে থানায় নিয়ে যায়। পরে রাত দেড়টার দিকে মামলা করা হয়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, শাওন তাকে স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। এরপর তার নগদ টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা ছিলেন বেশ কিছু দিন। ২১ মার্চ রাতে ঈশ্বরদীর খায়রুজ্জামান বাবু বাস টার্মিনাল এলাকায় শাওনকে পেয়ে জনসম্মুখে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে যান তিনি।
তিনি আরও জানান, ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরির সুবাদে শাওনের সঙ্গে তিন বছর আগে তার পরিচয় হয়। শাওন সে সময় ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরিচয়ের সূত্রে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিয়ের কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন শাওন। পরে শাওন বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ধর্ষণ মামলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তখন শাওনের বাবা শহিদুল ইসলাম বিয়ের আশ্বাস দেন। প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে তাদের ভাড়াটিয়া হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। শাওন এ সুযোগে অবাধে মেলামেশা শুরু করেন। আবারও বিয়ের জন্য চাপ দিলে শাওন বিয়ে করতে অস্বীকার করেন এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
ভুক্তভোগী বলেন, ‘শাওন আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও রেখেছেন। বিয়ের জন্য চাপ দিলে ভিডিও ভাইরাল করে দেবে বলে হুমকি দেয়। আমার গচ্ছিত টাকা শাওনকে দিয়েছি। সে বলেছিল এ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেই বিয়ে করবে। টাকা নেওয়ার পর থেকে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।’