বঙ্গোপসাগরের মোহনার প্রায় ২৭ নটিক্যাল মাইল উচ্চতায় পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা। উপজেলাটির পূর্ব পাশে রয়েছে তেঁতুলিয়া নদী ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদ।
এসব নদ-নদীর বুকে জেগে ওঠা দ্বীপে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজের হাতছানি। কৃত্রিমভাবে গড়ে ওঠা এ বনকে ঘিরে দিন দিন বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়। বিশেষ করে বনজুড়ে গড়ে উঠেছে পাখিদের অভয়ারণ্য। বর্তমানে ভ্রমণ পিপাসুরাও ছুটে আসছেন এখানকার মনোরম প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে।
প্রকৃতিপ্রেমীদের মতে এ বনকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করলে এখানে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। নদ-নদীর পশ্চিম পাড়ে রয়েছে ব্লক দেয়া বেঁড়িবাধ। প্রতিদিন বেঁড়িবাধে শেষ বিকেলের নদী দেখতে ভীড় করে সব বয়সী মানুষ।
দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে, বাবু নিবারণ রায়ের দীঘি, জলাশয়ে নির্মাণ করা সেজান পার্ক, বাকিমিয়া নারিকেল বাগান, সাদি তালুকদার বহুমুখী খামার, কাজী আনিচের লেবু বাগান, সুলতানের আনারকানন ও বগুড়ার নবাবী কাচারী বাড়ি অন্যতম।
প্রতিদিনই শত শত লোক এসে ভিড় জমাচ্ছে এসব স্থানে। এখানে পরিযায়ী পাখি থেকে শুরু করে নানা পাখিদের কলতান মুগ্ধ করে তোলে দর্শনার্থীদের। মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য অনেকে ভিড় করেন বনের কাছে এসে।
মৃত বাবু নিবারণ রায়ের উত্তরসূরি বাবু গৌতম রায় বলেন, দিঘির পাড়ে বাংলো ও দিঘিতে বোট ব্যবস্থা করে দেব। দিঘি ও বাড়ির কাঠের প্রাসাদের সৌন্দর্য্য বর্ধণে বড় বাজেট করেছি আমরা।
একাধিক দর্শনার্থী বলেন, এলাকার মধ্যে এত সুন্দর সেজান পার্ক নির্মাণ করে বিনোদনের ব্যবস্থা করেছে। আমরা এখানে ছোট-বড় সব বয়সী মানুষ ঘুরতে এসে খুব আনন্দ পাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, বাবু নিবারণ রায়ের দিঘিতে আমরা সানবাঁধানো ঘাট নির্মাণ করেছি। রায় বাবুর উত্তরসূরিদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আরো কাজ করা হবে।