ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ভয়াবহ লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মধ্যে ৩৬ জন বরগুনা জেলার। জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া ৩৬ জনের মরদেহ বরগুনা জেলার বলে জানতে পেরেছি।’
এদের মধ্যে চারজনের পরিচয় শনাক্ত করেছে স্বজনরা। তাদের মধ্যে তিন জনের লাশ পরিবাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এরা হলেন- বরগুনার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের বশির উদ্দিনের মেয়ে তাইফা আফরিন (১০), বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের মো. রিয়াজ (৩৫) ও বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের বাটাজোড় গ্রামের স্বপনীল হাওলাদার কৃষ্ণ (১৫)।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদরের দিয়াকুল গ্রামের কাছে সুগন্ধা নদীতে ‘অভিযান-১০’ নামক লঞ্চটিতে আগুন লাগে। লঞ্চটি প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে রওনা হওয়ার পথে ঝালকাঠিতে ওই দুর্ঘটনার শিকার হয় বলে জানা গেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, শুক্র ও শনিবার দুদিন বন্ধ থাকায় ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ছিল লঞ্চে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চটি থেকে ৩৮ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ বাহিনী।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া ৩৬ জনের মরদেহ শনাক্ত করতে পেরেছেন তারা। এর মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকি ৩২ মরদেহ শনিবার পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হবে। এরমধ্যে যাদের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করতে পারবে তাদের হস্তান্তর করা হবে। দুপুরের পর থেকে মরদেহের ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা রেখে দাফন করা হবে।