নলছিটি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আটক জাল বিক্রি ও মা ইলিশ রেধে খাওয়ার অভিযোগ
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর, ২০২২, ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
আজমীর হোসেন তালুকদার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযানে আটক করা অবৈধ জাল গোপনে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সাথে তার বিরুদ্ধে অভিযানে আটককৃত জাল ব্যক্তিগত ভাবে মজুত করা, আটককৃত ইলিশ মাছ এতিমখানা বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে বিতরন না করা ও আটক মা ইলিশ নিজেই ট্রলারে বসে রান্না করে খাওয়ার গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে।
গত কয়েক দিন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলাধীন সুগন্ধা-বীষখালী নদীর বিস্তৃর্ন এলাকায় মা ইলিশ রক্ষার অভিযান কালে নলছিটি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত রবিবার রাতে সাংবাদিকরা অনুসন্ধান চালিয়ে ট্রলারে পাটাতনের নীচে লুকিয়ে রাখা বিপুল পরিমান জাল বেড়িয়ে আসে। এঘটনা জানাজানি হলে জেলা প্রশাসন ও সচেতন মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন রবিবার সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম উপজেলা সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর বিস্তৃর্ন এলাকায় অভিযান শেষ করলে স্থানীয় কয়েকজন কি পরিমান জাল ও মাছ আটক করা হয়েছে এবং সেগুলো কি করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানান। এসময় অভিযানের ট্রলারটি কোথায় জানতে চাইলে তিনি কিছু সময় গড়িমশি করে নলছিটি লঞ্চঘাটের পল্টনের সাথে বাধা রয়েছে বলে জানান।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা কয়েকজন সাংবাদিককে জানালে তারা লঞ্চঘাটের পল্টনের গিয়ে কোন ট্রলার না দেখে খোজাখুজি করে অভিযানের ট্রলারটি কামারপট্টি খালের তীরে ভাসমান দেখতে পায়। এসময় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দাসহ ছুটে গিয়ে ট্রলার চালককে তীরে আসতে বলেন। ট্রলার চালক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুতো প্রস্থানের চেষ্টা করলে উপস্থিত সবার চাপে তীরে আসে। তারা তল্লাশী করে ট্রলারের নীচে কাঠের পাটাতনের ভিতরে লুকানো বিপুল পরিমান জাল বেড় করে আনে।
উপস্থিত সবাই মৎস্য কর্মকর্তা (ভার:) নজরুল ইসলামকে আটক জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়ে থাকলে এই জালগুলো কোথার জানতে চাইলে কোন সদুত্তোর দিতে পারেনি। এক পর্যায়ে তিনি বলেন এগুলো লুকানো ছিলোনা। স্যার (জেলা মৎস্য কর্মকর্তা) বলেছিল এগুলো জ্বালাবে, তাই এখানে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলতে তার ব্যবহৃত (০১৯১৯৯৮৭৬২১) সেলফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ জানায়, ট্রলারের মধ্যে এভাবে জাল রাখা সম্পূর্ন বেআইনী। আর মা ইলিশ আটকের পর রান্না করে খাওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার জানান, এ ধরনের কোন ঘটনার প্রমান পাওয়া গেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।