সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার চতুর্থ জানাজা শেষে দোহারের শাইনপুকুর গ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর প্রথম জানাজা শেষে হাইকোর্টে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে নিজ এলাকা দোহার উপজেলার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাদ আছর তৃতীয় দফা জানাজা এবং মুকসুদপুর পদ্মা কলেজ মাঠে চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ মাগরিব শাইনপুকুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
জানাজায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান ফজলুর রহমান, ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন ঝিলু, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান কিসমত, সাধারণ-সম্পাদক আরিফ শিকদার, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ-সম্পাদক নুরুল হক বেপারী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেছের মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ প্রমুখ। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। তিনি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় অতি সম্প্রতি রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায় তাঁর ‘তৃণমূল বিএনপি’।
১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে ঢাকা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নাজমুল হুদা। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে নাজমুল হুদা তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। ওয়ান-ইলেভেনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালে ২০১০ সালে ২১ নভেম্বর দল থেকে বহিস্কার হন নাজমুল হুদা। পরে ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল দলের সদস্য পদ ফিরে পান। ২০১২ সালে ৬ জুন বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে ওই বছরের ১০ আগস্ট ‘বিএনএফ’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। পরে ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর গঠন করেন ‘তৃণমূল বিএনপি’।
এর আগে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান ‘জাগো দল’ গঠন করলে নাজমুল হুদা তাতে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে বিএনপি গঠিত হলে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন এবং তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ সদস্য।