চলতি মাস পেরোলেই আসছে নতুন বছর। তাই এখন কুষ্টিয়ার বিভিন্ন পথে-প্রান্তে দেখা মিলছে ক্যালেন্ডার বিক্রেতার। এসব ক্যালেন্ডারে সরকারি ছুটির তালিকা থাকায় মানুষের কাছে এর বাড়তি চাহিদা রয়েছে। তবে কাগজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের তুলনায় এখন ক্যালেন্ডার বিক্রিতে পুজি বেশি খাটিয়ে লাভের পরিমান কমে গেছে।
স্থানীয় কুষ্টিয়ার মিরপুর বাজারের ক্যালেন্ডার বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বাবুর বলেন, গত ৩৫ বছর ধরে ক্যালেন্ডার বিক্রির পেশার সঙ্গে জড়িত আছি। বছরের দুইমাস এই ব্যবসা চলে। বছরের অন্যান্য সময় জুতা-স্যান্ডেল বিক্রি করি।
তিনি বলেন, নভেম্বরের শুরু থেকে প্রতিদিন নিজ গ্রাম ঈশ্বরদীর শিশারত এলাকা থেকে বাস অথবা ট্রেনে দেশের বিভিন্ন জেলায় ক্যালেন্ডার বিক্রি করতে যাই। ক্যালেন্ডার বিক্রি করে প্রতিদিন যা আয় হয় এই দিয়ে কোনো মতে সংসার চলে।
নজরুল বলেন, গত বছর বড় ক্যালেন্ডার যেখানে শতকরা এক হাজার টাকা ছিল এখন সেটি বেড়ে ১৪০০ টাকা হয়েছে। আর ছোট ক্যালেন্ডার যেটি শতকরা ৬০০ টাকা ছিল সেটি এখন বেড়ে ৯০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। দাম বাড়ায় লাভও কিছুটা কমে গেছে। বর্তমানে প্রতি পিস ছোট ক্যালেন্ডার ১৫ টাকা এবং বড় ক্যালেন্ডার ২০ টাকা।
দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ক্যালেন্ডারের তারিখ বদলায়, মাস বদলায় কিন্তু আমাদের জীবন বদলায় না। বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম। ক্যালেন্ডার বিক্রি করে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। তবু পেটের তাগিদে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ক্যালেন্ডার বিক্রি করে বেড়ায়।
স্থানীয় মিরপুর বাজারের চা বিক্রেতা নাসির উদ্দীন বলেন, কিছুদিন পরেই আসছে নতুন বছর। এসব ক্যালেন্ডারে নতুন বছরে সরকারি ছুটির তালিকা পাওয়া যায়। যে কারণে আমি প্রতি বছর এই ক্যালেন্ডার কিনি।