বিনোদন ডেস্ক : দক্ষিণী শাড়ির সৌন্দর্যে আজন্মকাল মাত হয়েছে ভারতীয় নারী। একই ভাবে বলিউডেও নিজেদের শাসন কায়েম রেখেছেন দক্ষিণ ভারতীয় নায়িকারা। তা সে রেখা হোন বা হেমা। তবে এখন আর শুধু বলিউডের তারার ধুলো মেখে নয়, বরং সরাসরি দক্ষিণী ফিল্মের জাদু ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশ জুড়ে।
রশ্মিকা মন্দানা থেকে সামান্থা বা সাই পল্লবী— সকলেই পাল্লা দিয়ে চলেছেন প্রথম সারির বলিউড নায়িকাদের সঙ্গে। তাঁদের শরীরী বিভঙ্গ থেকে ঘন ভ্রূ-পল্লবের মদিরায় বিহ্বল দেশ। দক্ষিণের বেশির ভাগ নায়িকাকেই নো-মেকআপ লুকে দেখা যায় হামেশাই। শুধু তাই নয়, তাঁদের সৌন্দর্যের একটা দিকই হল অতিরিক্ত সাজগোজ থেকে দূরে থাকা।
আসলে দক্ষিণ ভারতীয় মহিলারা বেশির ভাগই বিশ্বাস করেন প্রাকৃতিক রূপচর্চার উপাদানে। ভরসাও করেন প্রাকৃতিক উপাদানকেই। তাঁদের ঘন কালো একঢাল চুলের রহস্য অবশ্যই নারকেল তেল। ত্বকের যত্ন তাঁরা ছেড়ে দুধ, কমলালেবুর খোসা ইত্যাদির উপরে –এমনটা অনেকেই জানিয়েছেন।
নারকেল তেল:নারকেল তেল প্রোটিনে ভরপুর। অন্য যে কোনও খনিজ তেল বা সূর্যমুখীর তেলের তুলনায় নারকেল তেল চুলের ক্ষতিপূরণ করতে পারে অনেক ভালভাবে। চুল ধোয়ার আগে ভাল করে মাথায় এবং সম্পূর্ণ চুলে নারকেল তেল লাগিয়ে নিলে তা ভেজা চুলের ক্ষতি রোধ করতে পারে। মনে রাখতে হবে ভেজা অবস্থায় চুল সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আবার চুল ধোয়ার পরেও তেলের হালকা প্রলেপ দেওয়া যেতে পারে। তাতে চুল নরম হয়, প্রতিদিনের ঘষে যাওয়া, ভেঙে যাওয়া থেকে বাঁচায়।
নারকেল তেল:নারকেল তেল প্রোটিনে ভরপুর। অন্য যে কোনও খনিজ তেল বা সূর্যমুখীর তেলের তুলনায় নারকেল তেল চুলের ক্ষতিপূরণ করতে পারে অনেক ভালভাবে। চুল ধোয়ার আগে ভাল করে মাথায় এবং সম্পূর্ণ চুলে নারকেল তেল লাগিয়ে নিলে তা ভেজা চুলের ক্ষতি রোধ করতে পারে। মনে রাখতে হবে ভেজা অবস্থায় চুল সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আবার চুল ধোয়ার পরেও তেলের হালকা প্রলেপ দেওয়া যেতে পারে। তাতে চুল নরম হয়, প্রতিদিনের ঘষে যাওয়া, ভেঙে যাওয়া থেকে বাঁচায়।
পরিবেশ দূষণ, খারাপ জীবনচর্যার কারণে চুলের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। প্রতিদিন চুল না গজালে স্বাভাবিক ভাবেই বাইরে থেকে দেখতে খারাপ লাগবে। এর থেকে রক্ষা করতে পারে নারকেল তেল। এটি চুলে আর্দ্রতা জোগায়, ভেঙে যেতে দেয় না। তাই চুল লম্বা হয়। ত্বকের জন্যও নারকেল তেল উপকারী। এতে উপস্থিত লরিক অ্যাসিড নানা ধরনের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ে। নারকেল তেল ত্বকের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
তিল তেল: দক্ষিণ ভারতীয় বিশ্বাস অনুযায়ী অনেক নায়িকাই পায়ের তলায় তিলের তেল মালিশ করেন। মনে করা হয় এতে চোখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়। এমনিতেও তিল তেল মালিশ করলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে, কারণ রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
গোলাপ জল: গোলাপ জলের ব্যবহার যদিও সকলেই করেন, তবে প্রাকৃতিক গোলাপ জলের উপর ভরসা রাখেন দক্ষিণী নায়িকারা। তাঁরা টোনার হিসেবে শুধু নিখাদ গোলাপ জলই ব্যবহার করেন। এটি প্রাকৃতিক তেলের ভারসাম্য বজায় রেখে ত্বককে সতেজ, পুনরুজ্জীবিত করে। সাময়িক লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বককে পুষ্টি জোগায়। সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করতে পারে। রোমকূপের মুখ বড় হতে বাধা দেয়।
কাঁচা দুধ: এটি আর একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা অত্যন্ত ভাল ভাবে ত্বকের সুরক্ষায় ব্যবহার করা হয়। দক্ষিণী নায়িকাদের বেশির ভাগই কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পদ্ধতিতে ভরসা রাখেন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই দুধ ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে। কিন্তু তার পাশাপাশি কাঁচা দুধে রয়েছে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখার পাশাপাশি কাঁচা দুধ বলিরেখা কমিয়ে দিতেও সাহায্য করে। ফলে বার্ধক্যের লক্ষণ কমে যেতে পারে। পাশাপাশি দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড রোমকূপের মুখ গভীর ভাবে পরিষ্কার করে দিতে পারে। তাতে ত্বকের উপর জমা হওয়া ব্রণসৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যায়। কাঁচা দুধ ব্রণ আক্রান্ত স্থানকে প্রশমিত করতেও সাহায্য করে।
পেঁপের মাস্ক: পেঁপের গুণাগুণও প্রচুর। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি। এ ছাড়া রয়েছে নানা ধরনের খনিজ পদার্থ। যেমন পটাসিয়াম ত্বককে আর্দ্রতা দেয়। শুষ্ক নিষ্প্রাণ ত্বকে জৌলুস ফিরিয়ে দেয়। ত্বকের অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধেও সাহায্য করে থাকে। দুধ বা টকদই, মধু, বা অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে পেঁপের চটকে মুখে লাগানো যেতে পারে।
কমলালেবুর শুকনো খোসা: কমলালেবুর খোসার গুঁড়োও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। দক্ষিণী নায়িকারা মূলত স্ক্রাবিং-এর জন্য কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো ব্যবহার করে থাকেন। কমলার খোসা ত্বকের একাধিক সমস্যা যেমন ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ, ডার্ক সার্কেল এবং শুষ্ক ত্বক সারাতে সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)