দশ দোকান-ঘের লন্ডভন্ড দশমিনায় বেড়িবাঁধ বিলুপ্তির পথে
প্রকাশ: ১ জুন, ২০২১, ৪:২৮ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে তেঁতুলিয় নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির তান্ডবে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাট এলকার ১০টি দোকান ও মাছের ঘের লন্ডভন্ড আর বেড়িবাঁধ বিলুপ্তির পথে প্রায়। বাঁশবাড়িয়া গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ন হয়েছে। চলছে বর্ষার মৌসুম আর ঝড়বৃষ্টিতে জীবনেরঝুঁকি নিয়ে বসবাস করেন এলাকাবাসী। বাঁশবাড়িয়ায় সবচেয়ে লন্ডভন্ডসহ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছের আড়ৎ ব্যবসাই মিরাজ খাঁনসহ ওই বাজারের ১০টি দোকানের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নদীর বিক্ষুব্ধ ঢেউয়ের তান্ডবে ক্ষতবিক্ষত তেঁতুলিয়া নদীর রক্ষাবাঁধসহ মিরাজ খার মাছের ঘের। লঞ্চঘাট বাজারের বেশিভাগ দোকানীদের অধিকাংশ ভেঙ্গে গেছে। নদীর রক্ষাবাঁধ প্রায় নদীর ভর্গে বিলীনের পথে। বন্যার পানির সাথে মিরাজ খাঁর পুকুর ডুবে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ওই এলাকার দোকান ব্যবসাইদের ব্যবসায়ীদের প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের তান্ডবে নদীর পশ্চিম দিকে শুধু ধ্বংস্তুপের চিহ্ন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহ আলম খাঁ বলেন, নদীর পারে বাজার আর নদী ভাঙ্গনের আছে এ এলাকা। বাজারের ধ্বংস করে রেখে গেছে বন্যায় আর পুকুরের মাছ নিয়ে গেছে পানিতে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মাছের আড়ৎ ব্যবসাই মিরাজ খাঁন বলেন, ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে অস্বাভাবিক তান্ডবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ ভেঙ্গে রয়েছে আর বাড়ির পুকুরের মাছ পানির সাথে চলে গেছে। বর্তমানে আমি খুব কষ্টে দিন কাটাই। এ বন্যায় অসাধিত ক্ষতি হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয় বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন আকন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার পানির প্রভাবে তেঁতুলিয়া নদীর ১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অধিক অংশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আর লঞ্চঘাট বাজারের প্রায় ১০টি দোকান ভেঙ্গেচুরে রেখে গেছে বন্যায়। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।