বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি : বরিশালের বাকেরগঞ্জে সুফল মিলছে না ‘তথ্য আপা’ কার্যক্রমের। তথ্য আপা কী বা তার কার্যক্রম কী— এ সম্পর্কে ধারণা নেই এসব এলাকার বেশিরভাগ নারীর।বাকেরগঞ্জ তথ্য আপা সূত্রে জানা যায়, ওয়েবপোর্টালের তথ্যভাণ্ডারে রয়েছে নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের বিশাল সমাহার। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জেন্ডার, আইনি সহায়তা এবং ব্যবসাবিষয়ক ছয়টি বিভাগে নারীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশ করে তৈরি করা হয়েছে এ তথ্যভাণ্ডার।তথ্যের জগতে নারীদের সহজ প্রবেশাধিকার এখানে নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে তারা অতিদ্রুত তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারেন এবং তথ্যের সাহায্যে তাদের সমস্যা সমাধানে নিজেরাই দক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে পারেন। রয়েছে আইপি টিভি।এসব নিয়ে মাসে দুটি করে উঠানবৈঠক করার কথা। করোনাকালীন উঠানবৈঠক বন্ধ থাকায় মাসে চারটি করে ওঠান বৈঠক করার নির্দেশনা দেওয়া হয় তাদের। তবে এগুলো সবই কাগজ-কলমে বন্দি; বাস্তবচিত্র একেবারেই ভিন্ন।এসব বিষয়ে উপজেলার একাধিক গ্রামীণ নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তথ্য আপার কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। তথ্য আপা কি এটিই তারা জানেন না।তথ্য আপার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য মোসা. ইরানী বেগম বলেন, এ কার্যক্রম সম্পর্কে আপনার কাছে শুনছি। তথ্য আপা নামে কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।একইভাবে চরাদী, দাড়িয়াল, দুর্গাপাশা, নুলায়, ফরিদপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের একাধিক নারী ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা বলে একই তথ্য মিলছে তথ্য আপার বিরুদ্ধে।এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ উপজেলা তথ্য আপা মাহাবুবা সিকদার বলেন, তথ্য আপার কার্যক্রম সম্পর্কে প্রচারণায় কোনো ঘাটতি রাখিনি। এসব বিষয়ে এ অঞ্চলের নারীদের শেখার ও জানার আগ্রহ কম। এ ছাড়া উপজেলার তথ্য আপার অফিস মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের মধ্যে হওয়ায় খুঁজে পেতেও কিছুটা সমস্যা হয়। করোনাকালীন কার্যক্রম চালাতে না পারায় কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে করোনার পর মাসে চারটি করে উঠানবৈঠক করার নির্দেশনা দেওয়া হলেও অর্থাভাবে তা বিঘ্ন ঘটে।জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তাদের কার্যক্রম যাতে সব ইউনিয়নের রিমোট এরিয়া পর্যন্ত যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।