চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥ ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিণ শিবা জমিলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগার পদে নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ শিবা জমিলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত সুপার মাও: আবুল বাশার অভিযোগ করেন- তিনি চলতি বছরের ৩১ মার্চ মাদ্রাসা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি কর্মরত থাকাকালীন ওই মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে কাউকে নিয়োগ দেননি। তার স্বাক্ষর জাল করে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: ইলিয়াছ মোটা অংকের অর্থের বিনিময় জনৈক শিহাব উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে গত বছরের ২৮ আগষ্ট নিয়োগ দেখিয়ে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল অনলাইনে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন। তিনি ওই নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য মাদ্রাসা অধিদপ্তরের নিয়োগ বোর্ডের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে আবেদন করেছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন- আবদুল্লাহ পুর ২নং ওয়ার্ডের মতলবের ছেলে শাহাবুদ্দিন মাদ্রাসা কমিটির সভাপতির যোগসাজশে আহাম্মদপুর ইউনিয়নের আবদুর রবের ছেলে শিহাব উদ্দিন নামের সনদ দিয়ে সুপারের স্বাক্ষর জাল করে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ নেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে তার গ্রন্থাগার বিজ্ঞান ডিপ্লোমার সনদের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ওই মাদ্রাসার সভাপতি গত ১০ বছরে ১১টি নিয়োগ দিয়েছেন তার সবগুলোই অবৈধ। সংশ্লিষ্ট দপ্তর তদন্ত করলে এর সত্যতা মিলবে।
এদিকে আবদুল্লাহপুর ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: ইলিয়াছের জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্যের বিচার চেয়ে দুদকে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ প্রসংগে জানতে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: ইলিয়াছকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার নুরুল আমিন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- ওই নিয়োগের কার্যক্রম স্থগিত করা হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ওই নিয়োগ আমার যোগদানের আগে হয়েছে। এমপিওভুক্তির অনলাইন আবেদনের সময় কম থাকায় কাগজপত্র ততটা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। অভিযোগের বিষয়টি ডিজি অফিস যাচাই-বাছাই করবে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।