খোকন সেরনিয়াবাতকে হারানোর জন্য বহুমুখী তৎপরতা : সজাগ থাকার পরামর্শ বিজ্ঞজনদের
প্রকাশ: ২১ মে, ২০২৩, ৩:৪৭ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ নোমানী :আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। বরিশাল সিটি কর্পোরেশ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী। নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন সমর্থকদের নিয়ে। তার সহধর্মিণী লুনা আব্দুল্লাহ ইতিমধ্য নগরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রয়েছে তার পদচারনা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। খোকন সমর্থকরা ১৫ এপ্রিল থেকে বিরামহীনভাবে নৌকা প্রতীকের জন্য ভোট প্রার্থনা করছেন ভোটারদের কাছে।
এ দিকে খোকন সেরনিয়াবাতকে হারানোর জন্য বসে নেই সাদিক সমর্থকরা। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাবার পর থেকেই খোকন সেরনিয়াবাতকে হারানোর জন্য বহুমুখী তৎপরতা শুরু করে সাদিকের হালুয়া রুটি খাওয়া কতিপয় বিপদগামী আওয়ামীলীগ ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিকলীগের সদস্যরা। এর সাথে রয়েছে হালুয়া রুটির ভাগিদার কতিপয় সাংবাদিক,সাংস্কৃতিক কর্মী ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাসহ শতাধিক লোকজন। এসব সুবিধাভোগীরা সাদিকের থেকে পালা পর্বনে নগদটাকাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহন করেছে। এসব সুবিধাভোগীরা মনোনয়ন না পাওয়া সাদিকের পক্ষ হয়ে প্রথমে খোকন সেরনিয়াবাতের সমর্থকদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় রইস মান্না একাধিকবার নৌকা সমর্থকদের ওপর হামলা করে নৌকার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। মান্না ও তার দল বল আটক হলে হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে আসে ঐ সুবিধাভোগীরা। এর পর তারা একটি দলকে সমর্থন দিয়ে মাঠে নামায়। ঐ দলের নেতারা নির্বাচন কমিশনে ক্ষা চেয়ে পার পেয়ে যাওয়ার পরে চুপসে যায়। তারা বুঝতে পেরেছে খেলাটি কি। এর পর ঐ সুবিধাভোগীদের গ্যাষ্ট্রিকখ্যাত লোকটির নেতৃত্বে ৩০টি ওয়ার্ডের প্রতিটি ওয়ার্ডে কালিবাড়ি সমর্থক একজন করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের প্রতিদ্বন্ধিতা করানোর পরিকল্পনা করে। ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী দিতে না পারলেও অন্তত ২৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী দিয়েছে। এসব প্রার্থীদের বরা হয়েছে নৌকা ঠেকানোর জন্য যা যা করার দরকার তাই তাই করো। তাদের বন্ধু মেয়র প্রার্থী হলো গরম নিবারনের প্রতীক। তাদের উদ্যেশ্য হলো খোকন সেরনিয়াবাত নির্বাচিত হলে যেন সুষ্ঠভাবে যেন সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা করতে না পারে। এসব কাউন্সিলরদের প্রতি টাকা বরাদ্ধ করেছে আওয়ামীলীগের সেই খোড়া লোকটি ও একজন কথিত সংসদ সদস্য প্রার্থী।
এদিকে কতিপয় বিপদগামী সাংবাদিক ও সংস্কৃতি কর্মীদের নামানো হয়েছে খোকন সেরনিয়াবাত, জাহিদ ফারুক শামিম এমপি ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জন্য। এখাতে টাকা ঢালছে সেই খোড়া লোকটি ও কথিত সংসদ সদস্য প্রার্থী। সুবিধাভোগী সাংবাদিকরা ইনিয়ে বিনিয়ে আজগুবি তথ্য দিয়ে খোকন সেরনিয়াবাত ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার চেস্টা করছে।
দিন যতই যাচ্ছে ততই বিপদগামীদের তৎপরতাও বাড়ছে। গরম নিবারনের ঐ প্রতীকের প্রার্থীর সাথে অতিগোপনে সম্প্রতি সাদিকের হালুয়া রুটি খাওয়া সাংবাদিকদের সাথে রুদ্ধদার বৈঠক ও খাওয়া দাওয়া হয়। এর পর থেকেই শুরু হয় একমুখী তৎপরতা।এর পরে সাদিকের ৫ খলিফার সাথে কতিপয় সাংবাদিকদের একটি গোপন মিটিং হয় নগরীর উত্তরের একটি বাড়িতে। সেখানে ঐ সাংবাদিকদের করনীয় বাতলে দেন। কিভাবে খোকন সেরনিয়াবাত ও তার সমর্থকদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়া যায়।
এদিকে ঐ বিপদগামী গ্রুপটি সাদিক অনুসারী কাউন্সিলর প্রার্থী ও সমর্থকদেরকে খোকন সেরনিবাত গ্রুপে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন কায়দাকানুন করছে ।ইতিমধ্য কয়েকজন সাদিক অনুসারী খোকন সেরনিয়াবাত বলয়ে ভিড়তে সক্ষম হয়েছে ।
সাদিক অনুসারীরা বসে নাই। একের পর এক ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। তারা যুদ্ধ ঘোষনা করছে যাতে করে খোকন সেরনিয়াবাত বিজয়ী না হোন।
এদিকে সাধারন ভোটাররা জানিয়েছেন, সাদিক মনোনয়ন পায়নি গ্যাষ্ট্রিক খ্যাত লোকজন ও ৮ খলিফাসহ তার সাথে থাকা বিতর্কিত লোকজনদের কারনে। সাদিকের অনিয়ম অন্যায় নিপিড়ন নির্যাতনের কারনেই বিএনপিসহ আপামর সাধারন নিরীহ লোকজন খোকন সেরনিয়াবাতকে বিজয়ী করবেন। বরিশালবাসী কোন পাতা ফাঁদে পা দিবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।খোকন সেরনিয়াবাত ও তার সমর্থকদের সাদিক অনুসারীদের থেকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছে নগরবাসী ।