মামুনুর রশীদ নোমানী :প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রায় এক মাস হয়ে গেল ঘুরছে না গাড়ির চাকা, এতে অভাব অনটনে দিনাতিপাত করছেন বরিশালের পরিবহন শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ, শ্রমিকদের কল্যাণের নামে পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর তহবিলে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা জমা হলেও সে তহবিল থেকে শ্রমিকরা কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না। তাদের প্রশ্ন এসব টাকা যাচ্ছে কোথায়?
শ্রমিকদের একাধিক সূত্র মতে, মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নাম ব্যবহার করে পরিবহন খাতে চাঁদাবাজী অনেকটা ‘ওপেন-সিক্রেট’।
বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতির আওতায় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও বরিশাল -পটুয়াখালী মিনি বাস মালিক সমিতির আওতায় রুপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে শত শত গাড়ি দেশের বিভিন্ন রুটে ছাড়তো। এ রুটগুলো থেকে প্রতিদিন মালিক সমিতির নামে লাখ লাখ টাকার মতো চাঁদা আদায় করা হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়। সে হিসেবে এ রুটগুলো থেকে মাসে কোটি টাকার বেশি টাকা চাঁদা আদায় হতো।
নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বরিশাল জেলা মালিক সমিতির নামে শত শত বাস চলাচল করে। এ রুটগুলো থেকে প্রতিদিন মালিক সমিতির নামে হাজার হাজার টাকা এবং মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় হতো।
বরিশাল -পটুয়াখালী মিনি বাস মালিক সমিতির অধিনে রুপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে মালিক সমিতির নামে প্রতিদিন সমিতি ও স্ট্যাটারদের চাঁদাসহ হাজার হাজার টাকা আদায় করতো। সে হিসেবে মাসে লাখ লাখ টাকা এ রুটগুলো থেকে আদায় করা হতো।
বরিশাল নগরীতে বেবিট্যাক্সি,মাহেন্দ্রা , অটো গাড়ি,গ্যাসের গাড়ি চালকদের রয়েছে আলাদা আলাদা ইউনিয়ন। প্রতিদিন এসব গাড়ি থেকে হাজার হাজার হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করতো। সে হিসেবে মাসে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হতো।
ইজিবাইক চালকদের কাছ থেকে ৩০-৫০ টাকা হারে প্রতিদিন অন্তত লাখ টাকার মতো চাঁদা আদায় করা তো। সে হিসেবে মাসে ৩ড় লাখ টাকা আদায় হবার কথা।
সব মিলিয়ে বরিশালের পরিবহন খাতগুলোতে প্রায় কোটি টাকার চাঁদা আদায় করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া রয়েছে এ অঞ্চলের বৃহৎ শ্রমিক সংগঠন ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন। এ সংগঠনের ‘আয়’ সবচেয়ে বেশি বলে প্রচলিত রয়েছে এবং সম্প্রতি অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি গণমাধ্যমে আলোচিতও হয়েছে।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে পরিবহন বন্ধের পর মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে দায়সারা খোঁজ-খবর নিয়েছেন অভিযোগ করে শ্রমিকরা বলছেন, তারা কোনো আর্থিক সহায়তা পাননি। সরকারি কিছু চাল সিটি মেয়র ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পেয়েছেন অন্যান্য মানুষের মত।
শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে শ্রমিকদের নগদ কোনো অর্থ দেয়া হয়নি অভিযোগ করে শ্রমিকরা জানান, প্রভাবশালীদের হয়রানির ভয়ে এসব নিয়ে প্রতিবাদেরও সাহস নেই তাদের।
বর্তমানে শ্রমিকরা অর্ধাহারে অনাহারে জিবনযাপন করলেও তাদের পাশে নেই তাদের পাশে নেই পরিবহন সমিতি ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। শুমিকরা অভিযোগ কনে বলেন,আমরা করোনা ভাইরাস আক্রমন করেছে মার্চ মাসেন ২৪ এপ্রিল। সে দিন থেকে লকডাউন। আমরা কি খেয়ে বাঁচবো। আমাদের কেউ খবর নেয়না।