মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গতো ১ এপ্রিল থেকে সারা বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্র গুলো বন্ধ ঘোষনা করে সরকার। দীর্ঘ সাড়ে চার মাস পরে খুলে দেয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। লকডাউনের কারনে পর্যটন শিল্পের সাথে জরিত সারা দেশে প্রায় চল্লিশ লাক্ষর মতো মানুষ বেকার হয়ে পরে এবং আর্থিক ক্ষতির মুখে পরে। সরকারের কঠোর লকডাউন ঘোষণার নিদর্শনা অনুযায়ী সব ক্ষেত্রে কম বেশি মানুষের আনা গোনা থাকলেও এক মাত্র পর্যটন শিল্পের সাথে জরিত পেশাজীবিরাই সঠিক ভাবে নির্দেশনা পালন করেছে।
আজ ১৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫০ ভাগ আসন খালি রেখে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সিমিত পরিসরে পর্যটন কেন্দ্র চালু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কুয়াকাটার সকল হোটেল, মোটেল,রেস্তোরাঁ,শুটকি,ঝিনুক শামুক,আচারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো দুয়ে মুছে পরিস্কার পরিছন্ন করে প্রস্তুত করা হয়েছে পর্যটক বরনে।
কুয়াকাটার শুটকি ব্যাবসায়ী সোহেল মাহমুদ বলেন,দীর্ঘ দিন পরে আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালুকরতে পেরে আনন্দিত ধন্যবাদ জানাই সরকারকে।
কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টে ঝিনুক ব্যবসায়ী শাহিন বলেন, এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে তা বুঝতে পারিনি। করোনার কারণে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় গত কয়েক মাস ধরে দোকানের মালামাল যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায়ই পড়ে আছে। এখন দোকান নতুন করে সাজাচ্ছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি‘র সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া জাহিদ বলেন, মহামারিতে আমাদের অনেক লোকসান হয়েছে যেহেতু খুলেদেয়া হয়েছে আশাকরি ব্যবসায়ী ভাবে কিছুটা হলেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো আমরা।
নৌ পথে সমুদ্র ও সুন্দর বনের পূর্ব অংশ ভ্রমণের জন্য বিশ্বাস্ত গাইড , স্বাধীন ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক,মোঃ শাহিন বলেন লকডাউনে কুয়াকাটার পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় আমরা খুবই কষ্টের ভিতর দিন কাটিয়েছি এখন কুয়াকাটা ভ্রমণে পর্যটক আসলে আমরা প্রস্তুত রয়েছি নৌ পথে সমুদ্র ও বন ভ্রমণের সেবা দিতে। আশাবাদী সমনের দিকে আর লকডাউন না দিলে কিছুটা হলেও আর্থীক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবো।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক)’র সভাপতি, রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, কুয়াকাটার সৌন্দর্যই পর্যটকদের কুয়াকাটায় টেনে নিয়ে আসে আশাকরি স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভ্রমণ প্রিয় অনেক পর্যটক কুয়াকাটা বেড়াতে আসবে । কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, কুয়াকাটায় ছোট বড়ো মিলিয়ে প্রায় ১৭০টির মতো আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। করোনার কারণে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় প্রতিটি হোটেলের মালিকই বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন। আশা করি কুয়াকাটার পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার মধ্যদিয়ে আর্থীক সচ্ছলতা ফিরে আসবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও বিনোদনকেন্দ্র আসনসংখ্যার ৫০ শতাংশ ব্যবহার করে চালু করতে হবে। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। যারা এ নিয়ম মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।