কে এম.জহির,কুয়াকাটাঃ- মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গতো পহেলা এপ্রিল থেকে সারাদেশের পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে সরকার পরবর্তী নির্দশনা না দেয়া পর্যন্ত এতে সাগরকন্যা কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের শুঁটকি ব্যাবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পরেছে।
একদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ অন্য দিকে পর্যটক আসা বন্ধ দুই যেন কাল হয়ে দাড়িছে। সারাদেশ থেকে যখন পর্যটক আসতো কুয়াকাটায় ভ্রমণে তখন দেশের সব থেকে ভালোমানের প্রসিদ্ধ শুঁটকি সংগ্রহ করতো পর্যটকরা এখান থেকে।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা শুঁটকি মার্কেট সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল মাহমুদ বলেন জিরো পয়েন্টে আমাদের ছোট বড়ো প্রায় ২৩ টি শুঁটকির দোকান রয়েছে প্রতিটি দোকানে গড়ে ১৮ থেকে ২০ লক্ষ কাটার শুঁটকি মাছ মজুত আছে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় এবং পর্যটক না আসায় আমাদের শুঁটকি মাছ বিক্রি হচ্ছে না। তা ছাড়া দোকান গুলো বন্ধ থাকায় অনেক শুঁটকি মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে গুলো আর মার্কেটে বিক্রি করার উপযোগী নেই।
শুঁটকি ব্যাবসায়ী দোকান মালিক মোঃ খলিলুর রহমান ও ফারুক মুসুল্লি জানান এনজিও এবং ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে নিজের যতোটুকু পুঁজি আছে সবটুকু এই ব্যাবসার পিছনে খাটিয়েছি প্রতি মাসে ব্যাংক ও এনজিও লোনের কিস্তি দোকান ঘর ভাড়া,কর্মচারীর বেতন,বিদুৎ বিল, নিজের সংসার, স্ত্রী সন্তানের খরচ সবই যোগান দিতে এখন হিমসিম খেতে হচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্র যখন খোলা ছিলো তখন প্রতিদিন গড়ে আমাদের প্রতি দোকানে প্রায় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকার শুঁটকি মাছ বিক্রি হতো। আর এখন করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন পর্যটক আসেনা দোকান বন্ধ প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা লস হচ্ছে।
এদিকে সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকাল ৫.০০টা পর্যন্ত দোকান খোলার অনুমতি থাকলেও কোন উপকারে আসছেনা শুঁটকি ব্যাবসায়ীদের কারন এখানকার ব্যাবসায়ীরা পর্যটক নির্ভরশীল স্থানীয়রা তেমন শুঁটকি না কেনায় দোকান গুলো বন্ধ বিক্রির প্রধান মাধ্যম পর্যটক নির্ভর। ###
১২/০৪/২০২১ইং
কুয়াকাটা।