কুয়াকাটার খান এগ্রো ফার্ম করোনায় আর্থিক ক্ষতির মুখে
প্রকাশ: ১৮ মে, ২০২০, ৩:০৪ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
কে এম জহির,কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ কুয়াকাটার খান এগ্রো ফার্মের বেহাল অবস্তা মহামারী করোনা ভাইরাসে সারাদেশ লকডাউন থাকায় কুয়াকাটায় এখন আর কোন পর্যটক আসতে না পারায় । ফার্মের মুরগি,মাছ,হাস আগের মতো বিক্রি হচ্ছেনা বর্তমানে ফার্মে ছয় হাজার সোনালী এক হাজার বয়লার মুরগি রয়েছে,পুকুরে চাষে ত্রিশ হাজার পাঙ্গাস,সাধা মাছ রয়েছে পচিঁশ হাজার, দেশী এক শত পঞ্চাশটি রাজ হাস,দেশী পাচঁটি দুধের গাভী,দশটি ছোট বড়ো ষাড় ও গাভী রয়েছে ফার্মে।
প্রতিদিন হাস,মুরগি,মাছ,গরুর জন্য সতের হাজার টাকার খাবা লাগে,সত্তর থেকে পঁচাত্তর দিনে মুরগি বিক্রির উপযুক্ত হলেও এখন বিক্রি না হওয়ায় তিন মসের উপরে খামারে রাখতে হচ্ছে এবং বারতি খাবারদেয়া লাগতেছে। আগে প্রতিদিন গড়ে তিন শতর বেসি মুরগি বিক্রি হতো তাতে প্রায় পয়ত্রিশ হাজার টাকার মতো আসতো তাদিয়ে প্রতিদিনের মাছ,মুরগী,হাস,গরুরর খাবারের ব্যবস্থা হতো।
বর্তমানে করোন ভাইরাসের জন্য প্রতিদিন মাত্র ত্রিশ থেকে চল্লিশটি মুরগি বিক্রি হচ্ছে তাতে বাজার মূল্যে চার হাজার টাকা মতো আসে। প্রতিদিন মাছ,মুরগী,হাস,গরুর খাবার জোগান দিতে প্রতিষ্ঠানের মালিক হিমসিম খাচ্ছে। বর্তমানে খামারটি সরকারি ভাবে আর্থিক সহয়তা না পেলে হয়তো কিছুদিনের ভিতর বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
খামারের মালিক মোঃ হাবিবুর রহমান ইকবাল খান বলেন আমার এখানে বর্তমানে তিন জন কর্মচারী আছে তাদের প্রতিমাসে খাবার ও বেতন বাবদ দিতে হচ্ছে পয়তাল্লিশ হাজার টাকা। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো আর চালিয়ে নেয়া সম্ভব হবেনা। প্রতি মাসে এখন আমার ফার্মে প্রায় আর্থি ক্ষতি চার লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা। যা গতো এক মাস একুশ দিনে প্রায় সাত লক্ষ ত্রিশ হাজার নয় শত তিরানব্বই টাকা।
ফার্মে বর্তমানে ছয় হাজার সোনালী মুরগি আছে তা বিক্রি হলে হাস,মুরগি,মাছ,গরুর খাবার এবং কর্মচারীর বেতন দিয়ে হয়তো আর নতুন করে ব্যবসাইক ভাবে ঘুরে দাড়ানো সম্ভব হবে না। করোনা ভাইরাসে সারাদেশ লকডাউন থাকায় গনপরিবহন বন্ধ তাই নতুন কোন মুরগির বাচ্চা আনা সম্ভব হচ্ছেনা ।
কে এম জহির,কুয়াকাটা প্রতিনিধি