উপজেলার গাছাবাড়ী গ্রামের কৃষক আবু বক্কর বলেন, ‘প্রায় ৪ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি। লোডশেডিংয়ের কারণে জমিতে এবার পানি দিতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। ওপরওয়ালার অশেষ রহমতে সময়ের বৃষ্টি সময়মত হওয়ায় ধানের শীষ ফুটতে কোনো সমস্যা হয়নি। আমনের ফলন ভালো হয়েছে।’
মাথাইলচাপড় গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই বছর প্রায় সব কৃষকের মাঠেই আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।
শিমুলদাইড়ের আমিরুল ইসলাম, চরবেতগাড়ীর ফজলুল হক নামের কৃষক বলেন, ‘রোগ বালাই তেমন না থাকায় আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধানের বাজার ঠিক রাখতে সরকারের যথাযথ নজর দেওয়া দরকার। কৃষিপণ্যের দাম বাড়ায়, উৎপাদনেও প্রভাব পড়েছে। উৎপাদিত ফসলের যথাযথ মূল্য না পেলে অনেক কৃষক অন্য ফসল চাষাবাদে ঝুঁকতে শুরু করবেন। বিশেষ করে ধানের বাজার দিন দিন যেভাবে কমতে শুরু করেছে তাতে চিন্তা বাড়ছে সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে।’
কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেজাউল করিম বলেন, এ উপজেলায় আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০.৭১০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ১১১০০ হেক্টর। আশানুরূপ ধানও উৎপাদন হয়েছে। বেশকয়েক দিন আগেই কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত ধান কাটা হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা শেষ হবে। কৃষকরা ধানের ভালো ফলন পাওয়ায় অনেক খুশি।