রবিবার ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ই-পেপার   রবিবার ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ



কলাপাড়ায় জমি অধিগ্রহণ : সরকারি কর্তা, দালাল মিলেমিশে অনিয়মে
প্রকাশ: ৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ২:৩৫ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ

কলাপাড়ায় জমি অধিগ্রহণ : সরকারি কর্তা, দালাল মিলেমিশে অনিয়মে

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হচ্ছে বড় বড় অবকাঠামো। এসব প্রকল্প ঘিরে অধিগ্রহণ করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষের জমি আর ভিটা। তবে এই অধিগ্রহণ নিয়ে কয়েক বছর ধরেই চলছে বিশৃঙ্খলা। ক্ষতিপূরণ পেতে দেরি, অনিশ্চয়তা ছাড়াও আছে দালাল ও একশ্রেণির কর্মকর্তার উৎপাত। দালালের সহায়তায় প্রকৃত জমির মালিকের বিরুদ্ধে ঠুকে দেওয়া হয় মামলা। অনেক জমির মালিকের ভাগ্য আটকে গেছে এমন ভুয়া মামলায়। এতে মিলছে না ক্ষতিপূরণ, ঠাঁই হচ্ছে না পুনর্বাসন কেন্দ্রে। আশ্রয়ের ব্যবস্থা না করেই উচ্ছেদ করা হয়েছে বহু মানুষকে। আবার অনেককে পুনর্বাসন করা হলেও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। কলাপাড়ায় মেগা প্রকল্পের কারণে ইলিশ প্রজননসহ প্রাণ-প্রকৃতিরও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্রামের পর গ্রাম অধিগ্রহণের আওতায় :সরকারি-বেসরকারি সংশ্নিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য ৬,৫৬২.২৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৪ হাজার ২০০। পুনর্বাসনের তালিকায় এসেছে ৩ হাজার ৪২৩ পরিবার। পুনর্বাসিত হয়েছে ১ হাজার ৫০০-এর মতো পরিবার। এখনও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলমান। পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৯৮২.৭৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখানে ১৩০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। সবাই পুনর্বাসনের তালিকায় এসেছে। কিন্তু এখনও ঘর হস্তান্তর হয়নি।

পটুয়াখালী ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পাওয়ার স্টেশনের (আরএনপিএল) নির্মাণকাজ চলছে। এ স্টেশনের জন্য ৯১৫.৭৪ একর জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। এখানে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ২৮১। পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৬ হাজার ৭০০ পরিবার। ২৮১ পরিবারকেই পুনর্বাসনের তালিকায় আনা হয়েছে। পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।

পটুয়াখালী ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সুপারথার্মাল পাওয়ার প্লান্ট (আশুগঞ্জ) নির্মাণের জন্য ৯২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখানে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮০ পরিবারকেই পুনর্বাসন তালিকায় আনা হয়েছে। পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।

বিএনএস শেরেবাংলা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বৃহত্তম নৌঘাঁটি নির্মাণের জন্য ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আরও ৬২০ একর জমির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান। এ এলাকায় কত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে তথ্য পাওয়া যায়নি।

সবচেয়ে বেশি জমি অধিগ্রহণ হয়েছে কলাপাড়ার লালুয়া ও ধানখালী ইউনিয়নে। এ দুই ইউনিয়নের ২১ গ্রাম এখন জনবসতিশূন্য।

তিন চক্রের জাল :ভূমি অধিগ্রহণ ঘিরে কলাপাড়ায় দালাল চক্র সক্রিয়। তাঁরা ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও জেলা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাকে হাত করে চালাচ্ছেন কর্মকা। এ ধরনের ঘটনার সত্যতা মিলেছে পটুয়াখালীর নতুন জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলামের সঙ্গে স্থানীয় সুধীজনের একটি মতবিনিময় সভায়। গত ১৩ ডিসেম্বর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত এ সভায় জমি অধিগ্রহণ নিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হয়। কারও নাম উল্লেখ না করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অনিয়ম ও হয়রানির প্রতিকার চাওয়া হয়। ওই সভায় জানানো হয়, মিথ্যা অভিযোগ ও কাল্পনিক মামলার কারণে অধিগ্রহণ করা জমি মালিকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সময়মতো তাঁরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছেন না।
অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে কারা জড়িত- এমন প্রশ্নে ওই সভায় উপস্থিত থাকা এক জনপ্রতিনিধি বলেন, সব গ্রামে শত শত দালাল কাজ করছে। তারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সঙ্গে সংযোগ রেখে নানা তথ্য সংগ্রহ করে। সে অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকের বিরুদ্ধে ওয়ারিশ দাবি করে মিথ্যা মামলা ঠুকে দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে জেলা প্রশাসনের সংশ্নিষ্ট শাখা কর্মকর্তাদের ব্যবহার করেন দালালরা। একই জমির একাধিক ব্যক্তিমালিকানা দাবি করে অধিগ্রহণ শাখায় অনাপত্তি কিংবা আদালতে মামলা করার পর পুরো কার্যক্রমটি স্থবির হয়ে যায়। মামলার কারণে সঠিক মালিকানা চিহ্নিত হওয়ার পরও অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয় না।

ধানখালী গাজী সফিউর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কথা হয় সালমা বেগমের সঙ্গে। তাঁর স্বামী মো. গোলাম মাওলা চাকরি করেন ঢাকার পোশাক কারখানায়। ৪০ বছর ধরে তাঁরা বাস করছেন এখানে। কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে তাঁদের ১২ কাঠার বসতভিটা ও কৃষিজমির পুরোটাই দিতে হয়েছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে পান ১৭ লাখ টাকা। এ জন্য স্থানীয় দালাল আজিজুর রহমানকে দিতে হয়েছে ৩ লাখ টাকা। জমি-বসতভিটা হারিয়ে তাঁরা এখন উঠেছেন পুনর্বাসন কেন্দ্রে।

এখানেই কথা হয় আবুল বাশারের সঙ্গে। তিনি বলেন, অধিগ্রহণের সময় তাঁর ১৬ লাখ টাকার ঘরের দাম ধরা হয় ৬ লাখ টাকা। কৃষিজমিসহ মূল্য বাবদ বরাদ্দের ১৮ লাখ টাকা তুলতে আতাউল্লাহ নামে এক দালালকে দিতে হয়েছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখায় টাকা ছাড়া কোনো নথি নড়ে না। কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামের হানিফ হাওলাদার অভিযোগ করেন, তিনি ঘরের ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন ৯ লাখ টাকা। টাকা তুলতে দালাল ও এলএ অফিসের কর্মকর্তাদের প্রতি লাখে ৮ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, এলএও শাখায় গেলে সেখানে কর্মরত একজন তাঁকে বলেন, আপনার ফাইলে ঝামেলা আছে। এটি মিসকেস করতে হবে। মিসকেসের জন্য ২২ হাজার টাকা লাগবে। এর পর কাগজপত্র ঠিকঠাক হলে অধিগ্রহণের টাকা ছাড়ের জন্য নতুন করে টাকা দিতে হবে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি সম্প্রতি এখানে যোগ দিয়েছি। এলএ শাখা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

মামলার জালে হয়রানি :কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নে পায়রা সমুদ্রবন্দরের ভূমি অধিগ্রহণে মামলা জটিলতায় আটকে থাকা ২১৪ পরিবার স্থায়ী সম্পত্তি ও পৈতৃক বসতবাড়ি হারিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এর মধ্যে প্রায় ১০০ পরিবার বেড়িবাঁধের বাইরে খুপরি ঘরে ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন। অধিগ্রহণে সব হারানো চাঁন মিয়া, আকবর ফকির, বাবুল মিয়া, মোসারেফ হাওলাদার, রিমন হাওলাদার জানান, দালাল চক্র মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁদের জমির টাকা আটকে রেখেছে।

‘জমিই ছিল আমার জীবন’- বললেন মুজিবুর রহমান নামে একজন বাস্তুচ্যুত, যাঁর ২১.৭৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য। ক্ষতিপূরণ পাওয়া অনিশ্চিত, কারণ তাঁর জমির ওয়ারিশ দাবি করে মামলা ঠুকেছে এক রাখাইন পরিবার। তারা বলছে, তাদের ওয়ারিশ বঞ্চিত করে এই জমি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।
লালুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ফরিদ তালুকদার জানান, বাবা ও চাচার পরিবার মিলিয়ে তাঁরা ৪০ একর জমির মালিক ছিলেন। পুরোটাই তিন ফসলি জমি। ফরিদ উদ্দীনের অভিযোগ, সরকারের তরফ থেকে জমির দাম বাবদ দেড় গুণ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় সেটি পাচ্ছেন না। দালালদের তৎপরতা ও মামলার কারণে সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্য টাকা যেমন পাচ্ছেন না, তেমনি তাঁদের বিকল্প আবাসস্থলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা থাকলেও মিলছে না সেই আবাসনও।

কলাপাড়া পরিবেশ ও জনপরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক লালুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বিশ্বাস বলেন, এ এলাকায় বহু মানুষ মামলার ফ?াঁদে পড়ে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। তাঁরা উচ্ছেদ হলেও পাননি পুনর্বাসন।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা-১) আবদুল কাইয়ূম বলেন, মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আমরা অধিগ্রহণের টাকা দিতে পারি না।

পুনর্বাসন না করেই উচ্ছেদ :স্বামী মো. হালিম মাঝির পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে চম্পা বেগম ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকতেন নারায়ণগঞ্জে। পরে তাঁরা ফিরে আসেন গ্রামে। চম্পা তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া ৪৫ শতাংশ জমিতে ঘরবাড়ি তুলে বাস করছিলেন। ঘরের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ না দিলেও বাড়ির গাছপালা, পুকুরের জন্য ৬ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে তাঁদের ঠাঁই হয়নি। বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে ৬ শতাংশ জমি কিনে মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়েছেন।

হুমকিতে প্রাণ-প্রকৃতি ও কৃষি :ইলিশের বড় আশ্রয়স্থল পটুয়াখালী উপকূলের আন্ধারমানিক, পায়রা, বামনাবাদ ও নোয়াখালী নদী। তবে ওই অঞ্চল ঘিরে বড় বড় প্রকল্পের কারণে ইলিশের বসতি পড়েছে ঝুঁকিতে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে ইলিশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভয়ারণ্য বামনাবাদ, আন্ধারমানিক ও টিয়াখালী নদীর পানি ও মাটিদূষণ মাঝারি থেকে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। ওই এলাকায় পানি নিস্কাশন ব্যবস্থাও নাজুক পরিস্থিতিতে রয়েছে।

ইলিশ গবেষক আনিসুর রহমান বলেন, ইলিশ খুব দূষণ সংবেদনশীল। কলাপাড়া এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ যেসব অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে বা হচ্ছে, এর প্রভাব অবশ্যই ইলিশের ওপর পড়বে।

বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের সমন্বয়কারী শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, প্রকল্প ঘিরে নদীগুলোতে বেড়েছে জাহাজ চলাচল। নদীতে পড়ছে গরম পানি ও বর্জ্য। এলাকায় কমে গেছে সবুজ। ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক ছোট ছোট খাল ও জলাশয়। কমেছে কৃষিজমি। রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সামাজিক সংগঠনগুলোর সক্রিয়তা ও সংশ্নিষ্ট দপ্তরগুলোর দায়িত্বশীল আচরণই পারে কলাপড়ার পরিবেশ ঠিক রাখতে।

সমীক্ষা :ওয়াটার কিপারস বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) গত মে মাসে ‘নির্মাণাধীন আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ প্রকল্প :একটি আর্থসামাজিক সমীক্ষা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সমীক্ষায় নেতৃত্ব দেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশিকুর রহমান। প্রকল্প এলাকার ১০০ বাসিন্দা সমীক্ষায় অংশ নেন। সেই সমীক্ষায় বলা হয়, জমির ক্ষতিপূরণ পেতে দালালদের সর্বনিম্ন ৪৪ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। স্থাপনা নির্মাণের কারণে মাটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ৮২ শতাংশ। এ ছাড়া ৭৯ শতাংশ বায়ুদূষণ, ১০০ শতাংশ বাতাসে ধোঁয়া ও কার্বন গ্যাস বাড়ার শঙ্কা, ৭৮ শতাংশের তাপমাত্রা বাড়ার শঙ্কা, ৯৩ শতাংশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর ব্যাপারে উদ্বেগ এবং ১০০ শতাংশই ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন। এ ছাড়া ৭০ শতাংশ মানুষ জীবিকা হারানোর ফলে জীবনমান কমে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন। ৬০ শতাংশ মানুষ সামাজিক নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন, ৭৯ শতাংশ স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন এবং ৬৯ শতাংশ শব্দদূষণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

কারা কী বলছেন :সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ূয়া বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে মূল বিবেচ্য বিষয় থাকে জনস্বার্থ। অথচ একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে জনস্বার্থের ধারণা প্রতিষ্ঠা করা যায় না।

প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের (এলএনএসপি) সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, কৃষক ও জেলে পরিবার হঠাৎ হারিয়েছে মাছ ধরার জলাশয় এবং কৃষিজমি। তাঁরা এখন বেকার। তাঁদের জন্য দরকার বিকল্প কর্মসংস্থান। এ বিষয়ে প্রকল্প নেওয়ার সময় পরিকল্পনা করা উচিত ছিল।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, অধিগ্রহণের ফলে ভূমি মালিকরা বিভিন্নভাবে ক্ষতির শিকার হন, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাঁরা যাতে সহজে ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে পারেন, সে জন্য আমরা কাজ করছি। পুরোনো অনেক আইনকানুন-বিধি পরিবর্তন কিংবা পরিমার্জনের চিন্তাভাবনা চলছে।




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান উপদেষ্টা : প্রফেসর শাহ্ সাজেদা ।

উপদেষ্টা সম্পাদক : সৈয়দ এহছান আলী রনি ।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।

যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল।

ইমেইল: [email protected]

মোবাইল: 01713799669/01711358963

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি।
© বরিশাল খবর সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

  নলছিটির মগড় ইউনিয়নবাসীর সেবা করতে চান মোঃ সাইফুজ্জামান সুমন তালুকদার   প্রাণ ফিরছে বরিশাল নগরীর ৭ খালে   বেতারের সঙ্গীত শিল্পী (পল্লীগীতি) হিসেবে মনোনীত হলেন অ্যাড: জুয়েল   বরিশালের মাহমুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাচারী প্রধান শিক্ষিকা স্ট্যান্ড-রিলিজ !   বরিশাল ল’ কলেজে দুর্নীতি, উন্নয়নের নামে অর্থ আত্মসাৎ   অনিয়ম দুর্নীতির আতুরঘর বরিশাল বেতার : চলছে জোড়াতালি দিয়ে   বরিশাল ডাকঘরের ক্যাশিয়ার নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ   দেড় লাখ মামলা মাথায় বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীর   আলু শুন্য বরিশালের পাইকারী বাজার   বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি শুরু   মাদারীপুরের হিমাগারে ৩০ হাজার বস্তা, বাজারে আলুর কৃত্রিম সংকট   যুদ্ধ স্যাংশন সংঘাতের পথ এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান   Mamunur Rashid Nomani charged with violating Bangladesh’s Digital Security Act   ঝালকাঠিতে রোহিঙ্গা আটক এসেছিলো ভোটার হওয়ার জন্য   সাঈদুর রহমান রিমনকে নিয়ে দিলিপ কুচক্র মহলের ষড়যন্ত্রের জবাব!   বাবুগঞ্জে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের চার সদস্য আটক   নলছিটিতে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ   অপরাধ ঘটাতে আগাম ‘রেকি‘ করে গেছেন তারা!   ঝালকাঠি কারাগার: কু-প্রস্তাবের দাম দশ লাখ টাকা! জেলার বহাল তবিয়তে   রাজাপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দুর্নীতির আখড়া