রিপোর্টার শামীম মীর।। বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, তখন মরার উপর খারার ঘা হয়ে হাজির ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। কিন্তু অতীতের মত এবারও উজিরপুর বানারীপাড়ার মানুষের পাশে গরীবের এমপি সৈয়দা রুবিনা মিরা।তিনি ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান হতে মানুষকে সতর্ক করার জন্য নিজস্ব ফেসবুক একাউন্টের মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
তার বার্তাটি হলো,
প্রিয় বানারীপাড়া-উজিরপুরবাসী
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান প্রবল বেগে উপকুলের দিকে এগিয়ে আসছে। করোনা দুর্যোগের প্রতিটি মুহূর্তে আমরা সবাই একসাথে কাজ করছি। সেই কারণে মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের প্রতি মুহুর্তে সাহায্য করেছেন। এরই মধ্যে আরেকটা দুর্যোগ আম্ফান কড়া নাড়ছে আমাদের দরজায়। আমরা দুর্যোগ প্রতিরোধ করতে পারবো না কিন্তু সবাই মিলে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে পারি এবং একসাথে সতর্কতার সাথে কাজ করতে পারি। এই বিপদসমুহে আমাদের একসাথে থাকতে হবে অবশ্যই। পাশে দাড়াতে হবে একে অন্যের সব ভেদাভেদ ভুলে।
করোনা প্রটোকল মেনে ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয় সেই জন্যে ঘুর্ণিঝড় শুরুর পূর্বেই ঝুঁকিপুর্ণ এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। গবাদিপশুর জন্য আশ্রয় কেন্দ্রের নিচ তলায় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আপনাদেরকে বৃদ্ধ মা বাবা ও শিশুদেরকে আগেই সেখানে রেখে আসতে হবে। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মুল্যবান জিনিসপত্র সাবধানে রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সাথে নিতে পারেন।। যারা নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রে ওষুধ নিতে ভুল করলে চলবে না।
প্রয়োজনীয় কাপড় সাথে নিতে পারেন। মোবাইলের চার্জার অবশ্যই সাথে নিতে ভুলবেন না।
সিডরের অভিজ্ঞতা আপনাদের সবার রয়েছে। বলা হচ্ছে ঘূর্নিঝড় আম্ফান তার চেয়েও শক্তিশালী রুপে আঘাত হানতে পারে। তাই কোন ভাবেই অবহেলা করা চলবে না।
এলাকার সকল সচেতন নাগরিককে একে অন্যের পাশে দাড়াতে হবে। স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। অনুগ্রহ করে আপনার এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রামপুলিশদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করুন।
আমরা একত্রিত থাকলে মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই আমাদের সাহায্য করবেন। ফি আমানিল্লাহ।।”