সচিবালয়ে গতকাল রোববার ডিবিআইডি নেওয়ার একটি অ্যাপসের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অ্যাপস উদ্বোধনের আগে ডিজিটাল কমার্স ব্যবসায়ের সার্বিক দিক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় জানানো হয়, দেশে মোট ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান আড়াই হাজার। তবে ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) তালিকাভুক্ত ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৬০৯টি। আর ফেসবুক কমার্সের (এফ কমার্স) সংখ্যা দুই লাখের বেশি।আরও জানানো হয়, ২০২১ সালের হিসাবে ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালে ২৬ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হবে। ২০২৫ সালে ৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ আছে এই খাতে। তবে প্রতারণার শিকার হয়ে কত মানুষের, কত টাকা অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আটকা আছে, এ বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।অনুষ্ঠানস্থলে চালডাল লিমিটেড, রকমারি ডটকম, আজকের ডিল, সাজগোজ লিমিটেড, যাচাই ডট কম, ডায়াবেটিস স্টোর, তৃণাস ক্লোসেট, নওরীনস মিরর—এই আট ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ও আঁখিস কালেকশন, নিথান ও মমস ফানুস—এই তিন ফেসবুক শপ ও আনন্দমেলা মার্চেন্টকে ডিবিআইডি নম্বর ও সনদ দেওয়া হয়।অ্যাপস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘তিন মাস আগে সভা করে একটা প্ল্যাটফর্ম করার কথা বলেছিলাম। সেটা আজ হলো। পর্যায়ক্রমে ই-কমার্স খাতের জন্য আরও বিভিন্ন পদ্ধতি চালু করা হবে।’প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন), ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক হিসাব খোলা, অর্থায়ন ইত্যাদি সমস্যাও আছে। এগুলো দূর করতে আমরা আরও আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করব।’বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধন না থাকায় ফেসবুককেন্দ্রিক ছোট উদ্যোক্তারা ব্যাংক হিসাব খুলতে পারেন না। ব্যাংকঋণ পাওয়ার শর্ত হিসেবেও ভবিষ্যতে কাজ করবে ডিবিআইডি।তথ্য ও যগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে আরও নতুন পদ্ধতি চালু হবে। যেমন একটি পদ্ধতি চালু করা হবে, যা দিয়ে পণ্যের অবস্থান বের করা সম্ভব হবে। আরেকটি হবে সহজে লেনদেন করার পদ্ধতি।কারাগারে থাকা ডিজিটাল কমার্স উদ্যোক্তাদের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনা করেছি, সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করছি—আইনের ওপরই আমাদের নির্ভরশীল থাকতে হবে।’যাঁদের টাকা অর্থ পরিশোধকারী প্রতিষ্ঠানের (পেমেন্ট গেটওয়ে) কাছে আটকা, তাঁরা তা ফেরত পাবেন। বাকিদের ব্যাপারে সরকার দায়িত্ব নেবে না বলেও জানিয়ে দেন টিপু মুনশি।
sources :prothomalo