ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মাতবরের বিরুদ্ধে মায়া বেগম নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৪ জানুয়ারি বিকেলে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ডের জন্য মেয়ের সঙ্গে চেয়ারম্যানের পরিষদে যান মায়া বেগম।
এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ তার।
মারধরে আহত হলে তাকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে পরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভেদরগঞ্জ থানার ওসি বাহালুল খান বাহার অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মায়া বেগম নামে এক নারী একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
অভিযুক্ত নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মাতবরের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও।
মারধরের শিকার মায়া বেগম নারায়নপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড পুটিয়া গ্রামের আহাম্মেদ আলী খানের স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মেয়ে হুমায়রার (২০) জন্য তিন মাস আগে মাতৃত্বকালীন কার্ডের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান তার মেয়ের এনআইডি নিয়েও কার্ড করে দেননি। পরবর্তীতে গত ১৪ জানুয়ারি বিকেলে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ডের জন্য মেয়ের সঙ্গে চেয়ারম্যানের পরিষদে যান। তখন তার মেয়ের হাত থেকে এনআইডি কার্ড নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন ও ওই নারীকে মারধর করেন।
এ ব্যাপারে মায়া বেগম বলেন, চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মাতবর মেম্বারের মাধ্যমে কার্ড করে দেবেন বলে ৩ হাজার টাকা দাবি করেন। সুদে ৩ হাজার টাকা নিয়ে মেম্বারের মাধ্যমে আমার মেয়ে হুমায়রা ও আমি চেয়ারম্যানের পরিষদে গেলে হঠাৎ করেই আমাকে ও আমার মেয়েকে মারধর শুরু করেন। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন আমি একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলাম। তাই পরিষদে যেতে পারিনি। তবে শুনেছি মাতৃত্বকালীন ভাতা নিয়ে মায়া নামে এক নারীর সঙ্গে চেয়ারম্যানের ঝগড়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে নারায়নপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মাতবরের বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মারধরের ঘটনা শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।