পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার নলখোলা বন্দরের সরকারি ও অন্যর জমি দখল নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে জমি দখল করে রাখার প্রমাণও পেয়েছেন সরকারি কর্তারা।
সরকারি দলের প্রভাব বিস্তার করে জমি দখলে রাখা ওই নেতার নাম আবু বকর সিদ্দিক। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
এ বিষয় ইউএনও জানিয়েছেন, দখলে রাখা সরকারি জমি বেশি অর্থ দিয়ে সরকারের অধিগ্রহণ করা। দখলকারীদের দেওয়া হয়েছে নোটিশ। অন্যদিকে ইউএনও সম্পর্কে আপিত্তকর মন্তব্য করেছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলখোলা বন্দরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনের সড়কের দক্ষিণ পাশে ৪ থেকে ৫ বছর আগে পৌনে ৪ শতাংশ জমিতে একটি ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী আবু বকর সিদ্দিক। ভবন নির্মাণের সময় সরকার দলের প্রভাব বিস্তার করে তিনি উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধিগ্রহণ করা জমি ও স্থানীয় এক চায়ের দোকানির জমি দখল করেন। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখলে রাখলেও প্রতিবাদ করেনি কেউ।
বৃহস্পতিবার নলখোলা বন্দরের জমি মাপা হলে ওই আওয়ামী লীগ নেতার দখলে প্রাথমিকভাবে ১৫ ফুট জমি দখলে রাখার প্রমাণ মেলে।
এছাড়াও সহিদ মৃধা নামে এক চায়ের দোকানি অভিযোগ করেন, হাজী আবু বকর সিদ্দিক প্রভাব খাটিয়ে তার ৭ ফুট জমি দখল করে নেন।
অভিযোগের বিষয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তিনি তার জমিতে ভবন নির্মাণ করেছেন। সরকারি জমিতে নয়।
তিনি আরও বলেন, আমার কেনা জমিতে ভবন করেছি। এর আগে একবার মাপার পর আমার ভবনের সিঁড়ি পর্যন্ত জমি পায় নাকি। আমার জমি হলে ইউএনওর বড়টাও কিছু করতে পারবে না। আর সরকারি জমি হলেও আমি কি রাখব।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল (অতিরিক্ত) বলেন, দখলে রাখা এলজিইডির ওইসব জমি সরকার বেশি অর্থ দিয়ে অধিগ্রহণ করেছে। জমি বেদখলে থাকায় প্রায়ই নলখোলা বন্দরসহ বিভিন্ন জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সদস্যা হয়। এ বিষয় দখলকারীদের নোটিশ করা হয়েছে।