ঘুরে ফিরে যুগ কাটাচ্ছেন শীর্ষ কর্মকর্তারা। আঞ্চলিকতা আর ক্ষমতার দাপটে নিম্মমানের প্রোগ্রাম প্রচারিত হচ্ছে। অসহায় কর্মচারী ও শিল্পীরা।বরিশাল বেতার কেন্দ্রটি অনুষ্ঠান, প্রকৌশল ও বার্তা-এই তিন শাখার সমম্বয়ে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অথচবরিশাল বেতারে তিনটি শাখার মধ্যে অনুষ্ঠান ও প্রকৌশল শাখার দ্বন্ধ এখন চরমে। নেই এ দু শাখার মধ্য কোন সম্বন্নয়। দুটি শাখা ওতপ্রোতভাতে জড়িত। অথচ এ দু বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউ কারো ছায়া পর্যন্ত দেখতে পারেনা। দ্বন্ধের কারনে বরিশাল বেতারে প্রতারিত হচ্ছে একই প্রোগ্রাম বার বার। একটি প্রোগ্রামের ঘোষনা দেয়া হলেও প্রচারিত হয় অন্যটি। একই লোকের প্রোগ্রাম ও নিম্মমানের অনুষ্ঠানের কারনে শ্রোতা হারিয়েছে বরিশাল বেতার।
আঞ্চলিক পরিচালক কিশোররঞ্জন মল্লিক। ফি মাসে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ অসংখ্য অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগের শেষ নাই। একাধিক লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন। কাজের কাজ কিছুই হয়নি ।
কে এই কিশোর রঞ্জন মল্লিক :
১৯৯৯ সালে বরিশাল বেতারে সহকারী পরিচালক পদে যোগ দেন কিশোররঞ্জন মল্লিক। ৫ বছর পর তাকে বদলি করা হয় রংপুর বেতারে। সেখান থেকে উপ-পরিচালক হিসেবে ২০০৭ সালে ফেরেন বরিশাল বেতারে। এখানেই আঞ্চলিক পরিচালকের চলতি দায়িত্ব। আর এরপর থেকেই হয়ে উঠেন বেপরোয়া। বেতারের সবকিছু জিম্মি হয়ে পড়ে তার কাছে। বার্তা ও অনুষ্ঠান বিভাগের সবাই হয়ে যান অসহায়। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে উঠতে থাকে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। যার সঙ্গে যুক্ত লাখ লাখ টাকার হাতবদল। বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতারের মহাপরিচালক বরাবরে চিঠি দেন। এতে দেয়া হয় তার দুর্নীতির ফিরিস্তি।
ওই চিঠিতে বলা হয়, বরিশাল বেতারে প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই পুনঃপ্রচারিত। অথচ কিশোর রঞ্জন প্রতিমাসে নতুন রেকর্ডিং দেখিয়ে উত্তোলন করেন লাখ লাখ টাকা। একই ঘটনা ঘটে জারিগান রেকর্ডিংসহ প্রায় সব অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে। গানের প্রস্তাবনা খাতা, বিল, রেকর্ডিং, লগ, কম্পিউটার, সিডি, টেপচার্ট এবং কিউশিট দেখলেই এসব অভিযোগের প্রমাণ মিলবে।
বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে ইউনিসেফ’র একটি চুক্তি অনুযায়ী বেতার শ্রোতা ক্লাব প্রশ্নে একটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে কিশোররঞ্জন মল্লিকের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকটি এনজিওকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় ১১ লাখ টাকার ওই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ, ওরিয়েন্টশন এবং অনুষ্ঠান দেখিয়ে তিনি লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বেতার শ্রোতা ক্লাবের নামে বরাদ্দ হয়ে আসা সোলার রেডিও আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বেতারের প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কিশোর রঞ্জন মল্লিকের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গেলেই হয়রানি হেনস্থা করেন তিনি। বাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়ায় সর্বপ্রথম ভয় দেখান প্রধানমন্ত্রীর দেশের লোক হিসেবে, প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেয়ার হুমকি সহ মামলার ভয় দেখান। কর্মকর্তা-কর্মচারী তার বিরুদ্ধাচরণ করে তাদেরকে প্রচার করেন জামায়াত শিবিরের কর্মী বলে। একই সঙ্গে চলে মহাপরিচালকের নাম ভাঙিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দূরবর্তী স্টেশনে বদলি ও অস্থায়ী কর্মচারীদের চুক্তি বাতিলের ভয় দেখানো।
এ ব্যাপারে কিশোর রঞ্জন মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত প্রায় সব অভিযোগই মিথ্যা।
উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মুঃ আনসার উদ্দিনের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ :
উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মুঃ আনসার উদ্দিন ঘুরে ফিরে বরিশাল বেতারে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নাই। প্রথমে বরিশাল বেতারে সহকারী পরিচালক পদে ছিল। অনত্র বদলী হওয়ার পরে আবার ঘুরে ফিরে বরিশাল আসেন। বরিশাল বেতার যেন তার কাছে মধুর চাক। তার বিরুদ্ধে মুজিবর্ষে প্যাডে মুজিববর্ষের লোগো ব্যবহার না করার অভিযোগও রয়েছে। প্রতিবাদে বাধ্য হয়ে লোগো ব্যবহার করা হয়। আনসার তিনি কিশোর রঞ্জন মল্লিকের সাথে মিলে মিশে অর্থ লুটপাটে থাকেন ব্যস্ত। উপাস্থাপনা, অর্থ ও অনুষ্ঠানের দ্বায়িত্বে থাকার কারনে তিনি দু হাতে আঞ্চলিক পরিচালকের সাথে মিলে মিশে অর্থ লুট করছেন। এছাড়া তিনি তার জন্মস্থান আমতলী উপজেলার লোকজনকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রোগ্রাম দিয়ে একটি মাস্তান গ্রুপ গঠন করে হেনস্থা করছেন শিল্পী, ঘোষক-ঘোষিকা ও কর্মচারীদের। বেতারের দারোয়ান আবু মাঝিকে দিয়ে তার বাসার কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ঘোষকদের ডিউটি বন্টনে বৈষম্যের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আনসার উদ্দিন আঞ্চলিক পরিচালকের ডানহাত বলে তার অনিয়মের কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেনা।
উপ আঞ্চলিক পরিচালক খালিদ মাহমুদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ:
বরিশাল বেতারে শিল্পীকে মারধর গালাগাল হুমকিসহ রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ। খালিদ মাহমুদ বেতারের কর্মকর্তা হয়েও তিনি বরিশালে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করছেন। খালিদ মাহমুদ তার বাবার বয়সি একজন শিল্পীকে মারধর,গালাগাল,লাঞ্চিত ও হুমকির ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। ক্ষমতার দাপট আর আঞ্চলিকতার কারনে সঠিকভাবে তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারেনি তদন্তকারী কর্মকর্তা। খালিদ মাহমুদ তার রুমে বসে বেতারের সিনিয়র শিল্পী নজরুল ইসলামকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করেন।লাঞ্চিত করে রুম থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এ ঘটনায় তৎকালীন আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ জাহিদ হোসেন দু সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি দায়ের করেছিলেন।
খালিদ মাহমুদ বরিশালে ডেপুটেশনে এসে রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। জামাত ঘরানার এই সাবেক শিবির নেতা খালিদ মাহমুদ বেতারে অবাঞ্চিত লোকজন, শিবির ,বিএনপি ও জামাতপন্থিদের প্রোগ্রাম দেয়া সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। খালিদ মাহমুদের বিরুদ্ধে।
দুর্নীতি আর অনিয়মে বেতারের সুফল বঞ্চিত দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ :
যে লক্ষ্য নিয়ে এ বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল তা দু যুগেও পূরণ হয়নি। এ কেন্দ্রের অনুষ্ঠানমালা উপকূলতো দুরের কথা বরিশাল শহরের বাইরেও শোনা যায়না। বরিশাল বেতার কেন্দ্রে দুটি ট্রান্সমিটার রয়েছে । একটি ১০ কিলোওয়াটের এফ এম ট্রান্সমিটার। অন্যটি ২০ কিলোওয়াটের “এ এম’ ট্রান্সমিটার। তবে এফ এম ও এ এম ট্রান্সমিটারটির ফ্রিকোয়েন্সি কম কারন ফ্রিকোয়েন্সির নুন্যতম ৫০০ ওয়ার্ড পর্যন্ত চালানো হয়না। দ্বায়িত্বরতদের সৃষ্ট সমস্যার জন্য কেন্দ্রটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। ২০১৩ সালে ১০ কিলোওয়াট মধ্যম তরঙ্গ ট্রান্সমিটারের পরিবর্তে ২০ কিলোওয়াট শক্তির মধ্যম তরঙ্গ ট্রান্সমিটার প্রতিস্থাপন করা হয়। এছাড়া ২০১৩ সালে ১০ কিলোওয়াট শক্তির একটি নতুন এফ.এম. ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে স্থাপিত ২০ কিলোওয়াট ,১২৮৭ কিলোহার্জে এ.এমে রেডিওতে অনুষ্ঠান প্রচারিত হলেও মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায়। মেরামতের নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।বেতার সবার জন্য, সবসময়, সবখানে’ এই প্রতিপাদ্য কাগজে কলমে পরিনত হয়েছে দক্ষিনাঞ্চলের কোটি মানু্ষের কাছে। রেডিও অন করে বরিশাল সেন্টার ধরাতে গেলে শো শো শব্দ করে। ২০ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও বাকেরগঞ্জ বসেও শ্রোতারা শুনতে পায়না স্পষ্ট কথা।বরিশাল বেতারের এ এম বন্ধ হয়ে যায় প্রায়ই।
শ্রোতা হারিয়েছে যে কারনে :
দুর্নীতিবাজ স্বার্থান্বেষী মহলের দৌরাত্মে কেন্দ্রটি এখন প্রায় নামসর্বস্ব কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। মানসম্মত অনেক অনুষ্ঠান প্রচার কমে গেছে। বছরের পর বছরেও অনেক দক্ষ ও গুনীশিল্পী বেতারে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাননা। এখানে দুর্নীতির মধ্যে রয়েছে বছরের পর বছর অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের সুযোগ এবং পূণঃ প্রচারিত কোন অনুষ্ঠানের শিল্পী সম্মানী না দিয়ে ভুয়া বিল করে টাকা আত্মসাৎ করা। অভিযোগ রয়েছে, পছন্দের শিল্পী ও ব্যক্তিদের একই দিনে বার বার অনুষ্ঠান করার সুযোগ দিয়ে টাকা তুলে ভাগাভাগি করা হয়। অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীদের মেধা বিবেচনা করা হয়না ও অনুষ্ঠানের মান যাচাই না করে প্রচারিত হয়। যাচাই বাছাই ছাড়া বরিশাল বেতারে অনুষ্ঠান প্রচার হওয়ার কারনে আষাঢ়ের প্রোগ্রাম গরমে আর গরমের প্রোগ্রাম আষাঢ়ে প্রচারিত হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক অনুষ্ঠান- ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং আইটি বিশ্ব, তথ্য অধিকার ও আমাদের অধিকার, সরকারী বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান- পরশমনি, এসো কুরআন শিখি ও রমজানুল মুবারক, স্বাস্থ্য ও সম-সাময়িক বিষয়ক ফোন-ইন অনুষ্ঠান: জিজ্ঞাসা, সংগীত বিষয়ক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান- প্রিয় সুর প্রিয় গান, খেলাধুলা বিষয়ক অনুষ্ঠান-খেলার মাঠে, আবহাওয়াবার্তা সহ সকল অনুষ্ঠান। বরিশাল বেতার কেন্দ্রটি দুর্নীতির আতুড়ঘর হওয়ায় এ কেন্দ্রটি এ অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি চর্চা ও লালনে এবং একইসাথে জনস্বার্থ ও জাতীয় ইস্যুতে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারছেনা।পুরনো রেকর্ডিং করা অনুষ্ঠান বার বার প্রচার করাই হচ্ছে এখন এ কেন্দ্রটির মুল কাজ।
শিল্পীসম্মানী আর অনুষ্ঠানের জন্য শিল্পীদের মনোনয়ন নিয়ে রয়েছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। একজনকে একই দিনে এবং পর পর একাধিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের বিধান না থাকলেও তোষামোদির কারণে ব্যক্তি বিশেষকে বার বার অনুষ্ঠানও করতে দেখা যায়। কিশোর রঞ্জন,আনসার ও খালিদ মাহমুদের পছন্দের লোকদের বেশি অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের হার অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার অনুষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব হলেও কর্মকর্তারা টাকার পাহাড় বানাতে ব্যস্ত।
এক যুগ যাবৎ বরিশাল বেতার কেন্দ্রে দ্বায়িত্ব পালন করছেন আঞ্চলিক প্রকৌশলী হিসেবে আবদুল্লাহ নুরুস সাকলাইন। তার বেপরোয়া কর্মকান্ডের জন্য বরিশাল বেতার কেন্দ্রটি নড়বড়ে অবস্থা। বেতারের স্টুডিওগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল করা হয়েছে কাগজে কলমে। কনসাল, মাইক্রোফোনসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ থাকে নষ্ট। রশি আর কসটেপ দিয়ে চালাতে হয় এসব যন্ত্রাংশ। ষ্টুডিওতে মশার অভয়াশ্রম, দুর্গেন্ধ ভরা। বার বার চেয়েও মিলছেনা কোন স্প্রে। পরিচ্ছন্নতার কোন বালাই নেই।তিনটি স্টুডিওর তিনটিতেই নিম্মমানের মাইক্রোফোন দেয়া হয়েছে।ফলে অনুষ্ঠানের মান খারাপ হচ্ছে।
বরিশাল বেতারে কে এই আঞ্চলিক প্রকৌশলী আবদুল্লাহ নুরুস সাকলাইন :
বরিশাল বেতারের প্রকৌশল শাখার প্রধান আবদুল্লাহ নুরুস সাকলাইন। ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই যোগদান করেন। বাড়ি বরিশাল। তার প্রভাব ও দাপটে অস্থির সবাই। তার সাথে অনুষ্ঠান ও বার্তা বিভাগের সাথে কোন সমম্বয় নেই। এমনকি ওই দু বিভাগের কারো নামও শুনতে পারেন না। তার হাতে অনুষ্ঠান বিভাগের একাধিক লোক লাঞ্চিত হয়েছেন। এমনকি ওই দু শাখার কেউ প্রকৌশল শাখায় প্রবেশও করতে পারেন না। অনুষ্ঠান ও সংবাদ শাখার বিদ্যুৎ লাইনে এমন এক ধরনের যন্ত্র স্থাপন করেছে যে একটু বেশি লোড পরলেই বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। জানা গেছে সংবাদ শাখায় সংবাদ পাঠকদের একটু চা অথবা গরম পানিও খাওয়াতে পারেনা। চা বা পানি গরম করার ওয়াটার হিটার সাকলাইন যব্দ করে নিয়েছে কয়েকবার অথচ ডরমিটরি ভবনে তার শাখার কয়েকজন স্টাফ থাকে, সেখানে রান্না করে ইলেকট্রিক হিটারে, দিনের বেলায়ও ভবনের বাইরের বাল্ব জ্বলেথাকতে দেখাযায় সেখানে। এসব কর্মকান্ড ও জোড়-জলুম যেন প্রমান দেয় বরিশাল বেতারকে সে বন্ধ করতে চায়। শুধু এপর্যন্তই শেষ নয়, কোয়ার্টারের ভেতরের জমি তিনি বরাদ্দ দিয়েছেন তার প্রকৌশল শাখার স্টাফ বাশার এবং অনুষ্ঠান শাখার স্টাফ বেনজিরকে, কিন্তু বাশার ও বেনজির সেই জমি বাহিরের লোকদের কাছে লিজ দিয়েছে, যা ফোনে তাদের স্বিকারোক্তি পাওয়া গেছে । অথচ এটা বেতারের আইন বহির্ভুত কাজ বলে জানান,বেতার সংশ্লিষ্টরা।
আঞ্চলিক প্রকৌশলী আবদুল্লাহ নুরুস সাকলাইন বলেন, ১৩ জুলাই থেকে বরিশাল বেতারের এ এম বন্ধ রয়েছে। টেকনিক্যাল বিষয় পার্টস বিকল হওয়ার কারনে হয়তো বন্ধ হয়ে গেছে। চেষ্টা চলছে আশা করি চালু করা সম্ভব হবে। বরিশাল বেতারে ৫ থেকে ছ বছর আছি বলে স্বিকার করে বলেন আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অসত্য।
দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে ১৯৯৯ সালের ১২ জুন বরিশাল বেতার কেন্দ্রটি একটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।যে উদ্দ্যেশে বেতার কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছিল সে উদ্দ্যেশ্য আজ বিফলে।