মামুনুর রশীদ নোমানী :বরিশালের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান। কর্মক্ষেত্রে সততা, সাহসিকতা, দক্ষতা, চৌকস আর দৃঢ় ব্যক্তিত্ব তাকে করেছে অনন্য। পুলিশ কর্মকর্তা হলেও নানামুখি মানবিক কাজ করে কুড়িয়েছেন সুখ্যাতি। সময়োপযোগী ও দূরদর্শী নেতৃত্বগুনের কারণে সর্ব মহলে রয়েছে তার সুনাম।তাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করি বহুবিদ কারনে। তিনি বরিশালের ডিআইজি হওয়ার পরে একদিনও দেখা হয়নি। তবে তার কাজগুলো দেখছি প্রতিনিয়ত ।
বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজির দায়িত্ব নেওয়ার পর সকল থানাগুলোতে শৃংখলা ফিরিয়ে এনে পুলিশি সেবা নিশ্চিত করেছেন। এরইমধ্যে তার এই উদ্যোগ পুলিশে নজির তৈরি করেছে।
থানা পর্যায়ে পুলিশের প্রতি মানুষের যে ভাবমূর্তি তা ডিআইজি এস এম আকতারুজ্জামান বদলে দিয়েছেন । তার বহুমুখী ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণেই পুলিশ বাহিনীর সুনাম ও প্রশংসা বেড়েছে। তিনি প্রমাণ করেছেন সৃজনশীলতা, মেধা, মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে নেতৃত্ব দিলে পুলিশের মতো একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ বাহিনীকে জনগণের বন্ধুতে পরিণত করা যায়।
কুইক রেসপন্স এ্যাসপ ও সফটওয়ার উদ্ভোবন তার ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ বেশ সাড়া ফেলেছে। কমেছে অপরাধ। বেড়েছে মনিটরিংও । প্রতিটি থানা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা,অপরাধ লিস্টসহ সবকিছু হালনাগাদ করেছেন। ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে প্রতিটি মুহুর্তে জানতে পারছেন সকল থানার চিত্র।
পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বহুগুণ বেড়েছে। পাশাপাশি পুলিশি সেবা যেমন- মামলা, জিডি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কিংবা অন্য কোনো সেবা নিতে টাকা-পয়সার প্রয়োজন হয় না। এর জন্য কোনো সুপারিশ বা তদবিরও লাগে না। নিঃসংকোচে একজন মানুষ থানায় চলে আসতে পারে এবং তার কাঙ্খিত সেবাটা নিতে পারে সহজেই।
রাজাপুর থানা যেই সেই ……..
ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর থানায় দালাল ও তদবীর ছাড়া কোন কাজ হয়না। এখানের কতিপয় পুলিশ ঘুষ আদায় করেন। ঘুষ নিয়েও থানায় মামলা না নিয়ে আদালতে পাঠিয়ে দেন। আবার মামলা হলে বাদী বিবাদী উভয় থেকে ঘুষ নেন। একটি মামলায় একাধিকবার চার্জশীট প্রদানেরও উদাহরন রয়েছে।
ডিআইজি স্যারের নিকট আকুল আবেদন রাজাপুর থানাকে দালাল ও সেবা ঘুষ মুক্ত করার দাবী জানাচ্ছি।
ডিআইজি স্যার বিশেষ করে থানাগুলো মনিটরিং করতে একটা ব্যাতিক্রম সিস্টেম চালু করেছেন। এই উদ্যোগে মানুষ কতটা উপকৃত হচ্ছে, মানুষ কতটা উপলব্ধি করছে সেটা মানুষ মূল্যায়ন করবে। পাশাপাশি গণমাধ্যমের উচিত এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা। তাহলে মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
কুইক রেসপন্স উদ্ভাবনের জন্য স্যারকে আন্তরিক অভিনন্দন।
ডিআইজি স্যার একজন সাংস্কৃতিক কর্মীও। এছাড়া তিনি একজন রুচিশীল ও ভালো মানুষ। তার সাহসিকতা ও দক্ষতা প্রশংসনীয়। আমরা তার সফলতা কামনা করি।
লেখক : মামুনুর রশীদ নোমানী,
সভাপতি, বরিশাল অনলাইন সাংবাদিক ইউনিয়ন,বরিশাল।