মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতা ১৮ আগস্ট ২০২২, ১৯:১১
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যুবলীগ নেতা রেদোয়ান গোলদারকে (৩৮) ৯০ বছরের জুলেখা খাতুন নামের বৃদ্ধার আইডি কার্ডে সোমাইয়া আক্তারের (৩৪) নাম ব্যবহার করে ভুয়া কাবিনমানার মাধ্যমে যৌতুকের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলেনে এ অভিযোগ আনা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মঠবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার ও উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি ফিরোজ হোসেন লিটন, উপজেলা সেম্বচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ভুত্তভুগি স্বজনরা।
লিখিত বক্তব্যে রেদোয়ান বলেন, স্থানীয় প্রতিপক্ষরা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে অচেনা অজানা এক ৯০ বছরের জুলেখা খাতুন নামের বৃদ্ধার আইডি কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করে সোমাইয়া আক্তারের নাম বসিয়ে যৌতুকের সাজানো মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রেদোয়ানের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ গত ২৩ জুলাই গভীর রাতে রেদোয়ান গোলদারের তুষখালীর ছোট মাছুয়া বসতবাড়িতে থানার এসআই আবুল বাসার ও এসআই নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি পুলিশ সদস্যের দল গ্রেফতারের জন্য যায়। এ সময় রেদোয়ান গোলদার বাড়িতে না থাকলেও পুলিশ দরজা, জানালা ভাঙার চেষ্টা করে। পরে বিধবা মা দরজা খুলে দিলে আলমারি, ওয়ারড্রোয়ার ও মালামাল তছনছ করে এবং একটি কমলা রঙের সাইড ব্যাগ নিয়ে যায়। যার ভেতরে তার মরহুম বাবার মূল্যবান কাগজপত্র ছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।
রেদওয়ান গত ৪ আগস্ট সংশ্লিষ্ঠ আদালতে জামিনের আবেদন করেন এবং সোমাইয়া নামের কারো সাথে বিয়ে হয়নি এছাড়া ওই কাবিননামার কাগজপত্র বানোয়াট বলে বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে।
পুলিশি হয়রানি, আলমারি, ওয়ারড্রোবের মালামাল তছনছ এবং ব্যাগ নেয়ার বিষয়টি মিথ্যা বানোয়াট দাবি করে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নুরুল ইসলাম বলেন, আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ পেয়ে পুলিশ রেদোয়ানকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায়।