নেপালের পোখারায় অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে নিহত বেড়ে ৬৮জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের সংখ্যার দিক থেকে এটি গত ত্রিশ বছরের মধ্যে নেপালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।
এক বিবৃতিতে নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি জানায়, বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ৬৮জন নিহত হয়েছেন। নেপালের ইতিহাসে এটি অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলে হয়, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাচ্ছিল। অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
এটিআর ৭২ মডেলের দুই ইঞ্জিনের বিমানটিতে মোট ৬৮জন যাত্রী ছিলেন যাদের ১৫ জনই ছিলেন বিদেশি নাগরিক। বিমানের ক্রু সদস্য ছিলেন চারজন। বিধ্বস্তের পরপরই নেপালের সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
স্থানীয় টেলিভিশনের সংবাদে উদ্ধার কাজ চালানোর ভিডিওচিত্র দেখা যায়। পুলিশ কর্মকর্তা অজয় কে. সি. বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা এরইমধ্যে ৩১জনের মৃতদেহ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তাছাড়া আরো ৩৩জনের দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’
ঘটনার তদন্তে এরইমধ্যে একটি প্যানেল গঠন করেছে সরকার। অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পাউডেল সাংবাদিকদের জানান, আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এই প্যানেল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
পাহাড়বেষ্টিত হিমালয়ের দেশ নেপালে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তনের কারণে বিমানযাত্রী প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ২০০০ সাল থেকে এই পর্যন্ত দেশটিতে বিমান দুর্ঘটনায় ৩০৯ জন নিহত হয়েছেন।
দেশটির অ্যাভিয়েশন সেফটি ডেটাবেসের তথ্য অনুসারে, ১৯৯২ সালে পাকিস্তান এয়ারলাইনসের একটি বিমান কাঠমুন্ডু আসার পথে বিধ্বস্ত হয়ে ১৬৭জন নিহত হয়েছিলেন।