হিরোকে অলটাইম সবাই জিরো বানাতে চায়। কিন্তু হিরোকে কেউ জিরো বানাতে পারেনি।
ভবিষ্যতেও পারবেনা ,বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণে হাইকোর্ট থেকে আদেশ পাওয়ার পর মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) এমন মন্তব্য করেছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় থাকা হিরো আলম বলেন, আইনের ওপর আমার শ্রদ্ধা ছিল, নির্বাচন কমিশন বাতিল করলেও অন্তত আদালতে বিচার পাবো। সেই বিচার পেয়েছি। এখন বগুড়া-৪ ও বগুড়া -৬ আসনে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছি। আমার নির্বাচন করতে বাধা নেই আর। এখন প্রচারে নামবো।
নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করলে কি করবেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা আইনগতভাবে এগোচ্ছি। ওনারা আপিল বিভাগে গেলে আমরাও সেখানে যাবো।
এর আগে বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
তার করা দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী রেজাউল হাসান ও ইয়ারুল ইসলাম।
পরে আইনজীবী কাজী রেজাউল হাসান জানান, মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিটার্নিং অফিসারকে বলেছেন আশরাফুল আলমকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে. যাতে সে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। এখন হিরো আলম বৈধ হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থীতা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র প্রথমে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করেন। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিলের পর সেটি খারিজ করা হয়। এরপর তিনি সোমবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে পৃথক রিট করেন।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনের সচিব, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ চার জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজ ও বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন স্পিকারের কাছে পদত্যাগ করেন। ফলে আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ১ ফেব্রুয়ারি ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।