স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের ছাত্রী সুমনা পারভিন অন্তু অজানা রোগে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সুমনা বিএম কলেজের ইতিহাস বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী। গত ৭ বছর ধরে এই রোগে ভুগছেন এই ছাত্রী। ক্রমশই সে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বরিশাল, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গত ৭ বছর নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা ও ওষুধ সেবন করলেও তার রোগ বা অসুস্থতার কারণ খুঁজে বের করতে পারেনি চিকিৎসকরা। এমনকি পিজি হাসপাতালে ১৫/২০ জন চিকিৎসকের একটি বোর্ড গঠন করেও তার রোগের কারণ খুজে পাওয়া যায়নি।
এখন তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা ছাড়া আরো কোন উপায় নেই। তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় উন্নত কোন দেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছে না। এ অবস্থার সুমনার জীবন বাঁচাতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সুমনা নিজেই। সুমনা বাঁচতে চায়। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। জানা গেছে, সুমনা বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার পূর্ব রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা দিন মজুর জয়নাল আবেদিন এর মেয়ে। ২০১৭ সালে সুমনা তার শরীরে পরিবর্তন অনুভব করেন। রাতে ঘুমের মধ্যে তার মেরুদন্ডে ব্যাথা করতো।
২০১৯ সালে এই ব্যাথা প্রচন্ড আকার ধারন করে। তখন বরিশালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক তার চিকিৎসা করেন। তারা ওষুধ দেন, সে অনুযায়ী ওষুধ সেবন করে সুমনা। কিন্তু ওষুধ শুধু ব্যাথা নিবরণ করে। অন্যকোন উপকারে আসে না। ওষুধ বাদ দিলে ফের ব্যাথা শুরু হয়। এভাবে তাদের প্রতি মাসে ১৬/১৭ হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়। কিন্তু তাতেও কোন উপকার না হওয়ায় ঢাকায় চিকিৎসা করান সুমনার পরিবার। কিন্তু অসুখ ভালো হচ্ছে না সুমনার। এমনকি চিকিৎসক বোর্ড বসিয়েও তার রোগের কারণ জানতে পারেনি চিকিৎসকরা। ইতোমধ্যে সুমনার পরিবারের সদস্যরা তার চিকিৎসার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন। এখন আর চিকিৎসার ব্যায় বহনের উপায় নেই। দেশের বাহিরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকরা।
সুমনার জীবন বাঁচাতে সবাইকে সাধ্যমত এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছেন সুমনাসহ তার কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া। সবার ছোট ছোট সাহায্যই এই হাস্যোজ্জ্বল মুখটি টিকিয়ে রাখতে পারে। যারা সাহায্য পাঠাতে চান তাদের জন্য ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নাম্বার দেয়া হলো সুমনা পারভিন, সোনালী ব্যাংক, বিএম কলেজ শাখা, এ্যাকাউন্ট নাম্বার: ০৩০৯৫০১০২৩২২৯। বিকাশ ০১৭২৩৭৪২১৭৫, নগদ ০১৯৮৬৬৮৫৪১৩।
এ ব্যাপারে বরিশাল সরকারি বিএম কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমরা সুমনার জন্য পাসপোর্ট তৈরি করেছি। সুমনার পরিবারের সেই সক্ষমতা নেই যে, তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাবে। তাই সবাইকে এগিয়ে আসার আহŸান জানাচ্ছি।