মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সুন্দরবনের সব খালে দুই মাসের জন্য মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ বন বিভাগ। জুলাই-আগস্ট সুন্দরবনের মৎস্য প্রজাতির প্রধান প্রজনন মৌসুম। তাই এই দুই মাসে কোনো মৎস্যজীবীকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব সুন্দরবনের দুই লাখ ৩৪ হাজার ১৪৭ বর্গ কিলোমিটার বনভূমির মধ্যে দুই শতাধিক নদী ও খাল রয়েছে। এর মধ্যে অভয়ারণ্য এলাকার ১৮টি এবং ২৫ ফুটের কম প্রসস্ত খালগুলোতে সারা বছরই মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ। তাছাড়া, জুলাই ও আগস্ট প্রজনন মৌসুমের এই দুই মাস বনের সকল খালে মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখা হয়। প্রজননের এই সময়ের বাইরে অভয়ারণ্য এবং নিষিদ্ধ নদী-খাল ছাড়া সারাবছরই পাসধারী দুই হাজারেরও বেশি জেলে সুন্দরবনে মৎস্য আহরণ করে থাকে।জোয়ারের পানিতে সবসময় প্লাবিত হওয়া ম্যানগ্রোভ এই জলভাগে ভেটকি, রূপচাঁদা, দাঁতিনা, চিত্রা, পাংগাস, লইটা, ছুরি, মেদ, পাসে, পোয়া, তপসী, লাক্ষা, কৈ, মাগুর, কাইন মাগুর, রূপালী ইলিশসহ ২১০ প্রজাতির মাছ, গলদা, বাগদা, চাঁকা, চালী, চামীসহ ২৪ প্রজাতির চিংড়ি পাওয়া যায়।এছাড়াও, বিশ্বখ্যাত শিলা কাঁকড়াসহ ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মালাস্কা ও একপ্রজাতির লবস্টার, লবন পানির কুমির, ভোদড় এবং বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ইরাবতী ডলফিনসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন রয়েছে।