সুগন্ধা নদীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া অভিযান-১০ লঞ্চটি ৯ মাস পর মালিকপক্ষের কাছে হস্তান্তর
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট, ২০২২, ১১:৪৪ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ নোমানী :ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া অভিযান-১০ লঞ্চটি ৯ মাস পর নৌ আদালতের নির্দেশে মালিকপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে নৌ আদালতের নির্দেশে লঞ্চটির মালিকপক্ষ মেরামতের জন্য লঞ্চটি নিয়ে যায়। আটক করার পর থেকে লঞ্চটির জিম্মাদার ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম লঞ্চের মালিক হাম জালাল শেখের কাছে এটি হস্তান্তর করেন। পরে সুগন্ধা নদীতীরের ডিসি পার্ক থেকে লঞ্চটি বাল্কহেডের সঙ্গে বেঁধে মেরামতের জন্য নলছিটির দপদপিয়ায় নিজাম শিপিং ডকইয়ার্ডের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর পাড়ে মৃতদের স্বজনদের ভিড় ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর পাড়ে মৃতদের স্বজনদের ভিড় পুলিশ জানায়, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দিয়াকুল এলাকায় পৌঁছানোর পর ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়। এ সময় আগুন লেগে লঞ্চটি পুড়ে যায়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান লঞ্চের ৪৭ যাত্রী। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অর্ধশত মানুষ। এ ঘটনায় ২৮ ডিসেম্বর স্বজনহারা ব্যবসায়ী মনির হোসেন বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় লঞ্চের মালিক হাম জালাল শেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটি ঝালকাঠির আদালত থেকে ঢাকা নৌ আদালতে পাঠানো হয়। সেখানেই বিচারাধীন রয়েছে মামলাটি। এ ঘটনায় লঞ্চের মালিক আটক হলেও জামিনে মুক্তি পান। পরে মালিকপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ জুলাই নৌ আদালত মালিকপক্ষের কাছে লঞ্চটি হস্তান্তরের আদেশ দেন। সেই আদেশের কপি ঝালকাঠি থানায় আসে ২৬ জুলাই। ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনায় যাচ্ছিল আজ লঞ্চটি নিতে মালিকপক্ষ আসার খবরে স্থানীয় উৎসুক জনতা সুগন্ধা নদীতীরের ডিসি পার্কে ভিড় করেন। জনতার ভিড় দেখে লঞ্চের মালিক হাম জালাল শেখ সেখান থেকে চলে যান। এর পর থেকে তাঁকে আর দেখা যায়নি। লঞ্চের মালিকদের প্রতিনিধি হিসেবে ডিসি পার্ক থেকে লঞ্চ নেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন সুন্দরবন-১২ লঞ্চের ঝালকাঠি ঘাট সুপারভাইজার মো. আবু হানিফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি থানার এসআই নজরুল ইসলাম। ঝালকাঠিতে মাঝনদীতে লঞ্চে আগুন, ১৬ জনের লাশ উদ্ধার এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল লঞ্চের মালিকদের প্রতিনিধি মো. আবু হানিফ বলেন, ‘অভিযান লঞ্চের মালিক হাম জালাল শেখ আজ সকালে ঝালকাঠি আসেন। তিনি থানা-পুলিশের কাছে আদালতের কাগজপত্র দেখিয়ে লঞ্চটির জিম্মাদারের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেন। ঘটনাস্থলে লোকজন বেশি থাকায় হাম জালাল শেখ বরিশাল চলে যান। আমি তাঁদের প্রতিনিধি হিসেবে সহযোগিতা করেছি। লঞ্চটি আপাতত মেরামতের জন্য দপদপিয়া নিজাম শিপিং ডকইয়ার্ডে রাখা হবে। মেরামত শেষ হলে ইঞ্জিন বসিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। ঝালকাঠি থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা নৌ আদালতের নির্দেশনা আমরা গত ২৬ জুলাই হাতে পেয়েছি। লঞ্চটির মালিকপক্ষও আমাদের কাছে কাগজপত্র পাঠিয়েছে। আমরা সেগুলো যাচাই–বাছাই করে দেখেছি। এ সময় লঞ্চের মালিক হাম জালাল শেখের মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।’