সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারকে বৈধতা দিতে চাই না :ডা. মনীষা চক্রবর্তী
প্রকাশ: ৭ মে, ২০২৩, ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাসদের কোনো প্রার্থী থাকবে না বলে জানিয়েছেন ডা. মনীষা চক্রবর্তী। বলেছেন, সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারকে বৈধতা দিতে চাই না। আগে যে রকম ভোট ডাকাতির নির্বাচন হয়েছিল, সে ধরনেরই একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে নির্বাচন বর্জন করেছি। এই দলীয় সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার মনোভাব পোষণ করছি। নির্বাচন বয়কট করে গণতন্ত্রের এবং তদারকি সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একান্ত আলাপে আসন্ন সিটি নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচনসহ নানান বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন এই বাসদ নেতা। ডা. মনীষা বলেন, নির্বাচন কমিশন যখন আমাদের কাছে নির্বাচন নিয়ে সুপারিশ চেয়েছে সেখানে অনেকগুলো সুপারিশ তাদের করেছি। সে অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থাই তারা এখন পর্যন্ত গ্রহণ করেনি। ফলে আমরা মনে করি, এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যতগুলো নির্বাচন করেছে সেটা দলীয় উপনির্বাচন কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনোটিতেই তারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারেনি এবং নির্বাচনগুলোতে যারা দুষ্কৃতিকারী ছিল তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও গ্রহণ করেনি।
বিজ্ঞাপন
আমরা মনে করি, দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন- কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠুভাবে হওয়া সম্ভব নয়। আমরা তদারকি সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি। আমরা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছি। আমরা মনে করি, এই নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করে সরকারকে বৈধতা দেয়ার চেয়ে রাজপথে একটি নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের জন্য, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন বেশি জরুরি। মনীষা বলেন, এখন পর্যন্ত এরকম কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। যেটা থেকে আমরা মনে করতে পারি এই নির্বাচনে আলাদা কিছু হবে না। আগে যে রকম ভোট ডাকাতির নির্বাচন হয়েছিল, সে ধরনেরই একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে আসন্ন সিটি নির্বাচনে। কেমন নির্বাচন দেখতে চান- তিনি বলেন, আমরা মনে করি এই দলীয় সরকারের অধীনে আর কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব নয়। এটা তারা প্রমাণ করেছে। আমরা একটি নিরপেক্ষ এবং তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দেখতে চাই। ডা. মনীষা বলেন, আমরা নির্বাচন তো করতেই চাই; কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশ এবং জনগণের ভোট দেয়ার পরিবেশ যদি নিশ্চিত না হয়, তাহলে এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে শুধু শুধু সরকারকে বৈধতা দিতে চাই না। আমরা মনে করি, এখন এই সরকারের সাজানো নির্বাচনে অংশ নেয়ার চেয়ে রাজপথে তদারকি সরকারের আন্দোলনকে জোরদার করাটা জরুরি। বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং নতুন প্রার্থী সেরনিয়াবাত খোকন সম্পর্কে তিনি বলেন, নতুন মুখ বা পুরাতন যাই আসুক এখানে জনগণের মতামত প্রকাশের জায়গাটি যদি নিশ্চিত না হয়, তাহলে জনগণের প্রতি সেই জনপ্রতিনিধির দায়বদ্ধতা থাকাটা আমরা আশা করতে পারি না। আমরা মনে করি, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যে-ই ক্ষমতায় আসুক না কেন তার-ই জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু যদি নির্বাচনটি সাজানো হয় এবং সরকারের ডিজাইনের নির্বাচন হয় তাহলে সেই জনপ্রতিনিধির দায়বদ্ধতা থাকবে কিনা এটা পুরোপুরি তার ওপর নির্ভর করছে। আমরা সরকারি দলের মনোনয়ন নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার কিছু দেখি না। আমরা মনে করি, এখানে জনগণের মতের প্রকাশটি গুরুত্বপূর্ণ। যেটির পরিবেশ এখনো হয়নি।