সাবেক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ‘হত্যার’ ঘটনায় মামলা : স্বারকলিপি প্রদান
প্রকাশ: ৩ জুলাই, ২০২২, ৬:০৬ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন বাবুল মোল্লার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ ন্যায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করা না হলে মহানগর বিএনপি নগরবাসীদের সাথে নিয়ে বাবুল মোল্লার হত্যার বিচারের দাবিতে নগরীতে কঠোর আন্দোলন করবে বলে হুশিয়ারি।
রোববার বাবুল মোল্লার হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মহানগর আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলামের নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান খান ফারুক, সদস্য সচিব এ্যাড. মীর জাহিদুল কবির জাহিদ, যুগ্ম আহবায়ক আলতাফ মাহমুদ সিকদার, যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান টিপু, যুগ্ম আহবায়ক মাকসুদুর রহমান মাকসুদ সহ আহবায়ক কমিটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে বিসিসি’র ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গিয়াসউদ্দিন বাবুল মোল্লাকে হত্যার অভিযোগ এনে মৃত্যুর তিনদিন পর থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর অভিযোগ দায়ের করা হলে তিন দিন পর শনিবার এজাহার হিসেবে মামলাটি গ্রহণ করা হয়। মামলায় নগরীর জর্ডন রোড এলাকার গেইন ডায়াগনস্টিক এন্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারের মালিক এবং তার ভাই নাম উল্লেখসহ আরো চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১১।
মামলার বাদী হয়েছেন নিহতের ভাই কামাল মোল্লা। মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসানকে।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিমুল করিম এই তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, মামলায় বাদী অভিযোগ এনেছেন, রোগী ধরার দালাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন মিলে মারধর করে সাবেক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন বাবুল মোল্লাকে নির্মমভাবে মারধর করায় এতে গিয়াসউদ্দিন বাবুল মোল্লার মৃত্যু হয়। মামলাটি এসআই মেহেদী হাসানকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সবকছিু বেড়িয়ে আসবে বলেন জানান ওসি।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে নগরীর জর্ডন রোডের গেইন ডায়াগনস্টিক এন্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারের রোগী ধরা দালালদের সঙ্গে বাগবিতন্ডার জের ধরে সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন বাবুল মোল্লাকে মারধর করা হয়। পরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দিয়ে চাপা দেয় দালালরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ভাই কামাল উদ্দিন মোল্লা জানান, গত বুধবার বেলা দেড়টার দিকে গিয়াস উদ্দিন মোল্লা বাসা থেকে জর্ডন রোডে তাঁর নিজের বাসায় আসছিলেন। তখন গ্রামের এক সহজ-সরল রোগীকে ভুল বুঝিয়ে বাসার নিচতলায় গেইন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসা এক অটোরিকশাচালকের সঙ্গে রোগীর তর্ক হচ্ছিল। ওই অটোরিকশাচালক ছিলেন ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল। এ সময় গিয়াস উদ্দিন রোগীর পক্ষ নিয়ে দালালকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে চাইলে একপর্যায়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির মালিকের নির্দেশে অটোরিকশা দিয়ে গিয়াস উদ্দিনকে ধাক্কা দেন চালক। তখন অপর এক ব্যক্তি লাঠি দিয়ে তাঁর ভাইয়ের মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির মালিক এস এম রফিকুল ইসলাম দাবি করে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটা নিছক দুর্ঘটনা। আর ঘটনার সময় তাঁর ভাই শহরের বাইরে ছিলেন। কিন্তু তিনি কীভাবে দেখলেন, তাঁর ভাইকে আমার নির্দেশে ক্লিনিকের লোকেরা মাথায় আঘাত করেছেন।