সহোদর কোটা : ভর্তি জটিলতায় বরিশালের ৩২১ শিশু শিক্ষার্থী
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
তৃতীয় শ্রেণিতে মোট আসনের মাত্র পাঁচ ভাগ সহোদর কোটায় ভর্তি করা যাবে- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন নতুন নির্দেশনায় জটিলতা দেখা দিয়েছে বরিশাল নগরীর পাঁচটি সরকারি স্কুলে। স্কুলগুলোতে ভর্তির চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছে এমন সহোদর ৩২১ শিক্ষার্থী। আসন কমিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা বলছেন, ভর্তিতে সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে আদালতে যাবেন। কারণ, এরই মধ্যে ৩টি স্কুলে এই কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে।
সহোদর কোটায় (একই প্রতিষ্ঠানে ভাইবোন অধ্যয়নরত থাকলে অগ্রাধিকার) তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে গত রোববার সংশোধিত পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ভর্তি কমিটি সূত্র জানায়, চূড়ান্ত তালিকায় থাকা ৩২১ শিশু শিক্ষার্থীর মধ্যে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ১২৫, জিলা স্কুলে ৪৩, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৩, সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৫৩ এবং আরজু মনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৭ শিশু রয়েছে। কিন্তু নীতিমালা সংশোধন করে জারি করা পরিপত্রে মোট আসনের মাত্র ৫ ভাগ সহোদর কোটায় ভর্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সহোদর কোটার তালিকায় থাকা এক ছাত্রীর মা পপি আক্তার বলেন, ‘প্রায় অর্ধশত অভিভাবক সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়ে এই জটিলতার সমাধান চেয়েছেন। জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।’
পাঁচ সরকারি বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবা হোসেন বলেন, ‘২০২১ সনের ১৯ ডিসেম্বরের পরিপত্র অনুযায়ী বিদ্যালয়ের কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে সহোদর কোটা পূর্ণ করবে। কিন্তু নতুন পরিপত্রের বিষয়টি স্পষ্টকরণের জন্য সচিব বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠির আলোকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তবে তিনটি বিদ্যালয়ে এরই মধ্যে সহোদর কোটায় ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে। ফলে এই নির্দেশনা সাংঘর্ষিক কিনা- এ বিষয়ে কোনো জবাব দেননি প্রধান শিক্ষক মাহবুবা।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ বিষয়টি ‘মানবিক’ দৃষ্টিতে দেখার জন্য সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।