সহপাঠীর অকাল মৃত্যুর প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
প্রকাশ: ৯ নভেম্বর, ২০২২, ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
সহপাঠীর অকাল মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের এ অবরোধের কারণে এরই মধ্যে মহাসড়কের দুইপ্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৬ নভেম্বর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গার মাধবপুরে সাকুরা পরিবহণের বেপরোয়া একটি বাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল ইমন গুরুত্বর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
শিক্ষার্থী আবু মাসুম বলেন, কুয়াকাটা-বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলকারী সাকুরা পরিবহণের বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। কিন্তু আইনগত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে তারা প্রতিবারই পার পেয়ে যায়। এ অবস্থায় আমরা ঘাতক চালকসহ পরিবহণ সংশ্লিষ্ট যাদের গাফিলতিতে এ দুর্ঘটনা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
রুবেল হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ, সাকুরা পরিবহণের রুট পারমিট বাতিল করা ও স্পিডলক ব্যবস্থা কার্যকর করাসহ ৫ দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। দাবি না আদায় পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
এদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের দুইপ্রান্তে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করায় সড়ক যান চলাচল বন্ধের ফলে যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
বরগুনা থেকে বরিশালে আসা যাত্রী সাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। এমন হুট-হাট আন্দোলন থেকে মুক্তি চাই আমরা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম বলেন, যেহেতু ওদের সহপাঠীর মৃত্যু হয়েছে তাই ওরা একটু বিক্ষুব্ধ। আমরা ওদের বোঝানোর চেষ্টা করছি সড়ক থেকে সরে আসতে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।