নূরে আলম জিকু
বরিশাল শহরের পূর্বপাশ দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে বয়ে গেছে কীর্তনখোলা নদী। নদীর পাশেই গাছ-গাছালি ঘেরা বঙ্গবন্ধু উদ্যান (বেলস পার্ক)। সড়কের পাশে ৫৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪৫০ ফুট প্রস্থের এই উদ্যানেই বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। উদ্যানের চারদিকে ওয়াকওয়ে, বসার ছাউনি। মধ্যবর্তীস্থানে একটি হ্যালিপ্যাড, খেলার মাঠ। প্রধান সড়কের পাশেই একটি হ্রদ। সেখানে ফুটেছে শত শত লাল রংয়ের শাপলা। হ্রদের উপর ঠিক মধ্যবর্তীস্থানে বঙ্গবন্ধু ম্যুর্যাল। সেখানে রয়েছে ৪টি সিঁড়ি। এই সিঁড়ি বেয়ে অনায়াসে মাঠে প্রবেশ করছেন মানুষ ।
বিজ্ঞাপন
পার্কের উত্তর প্রান্তে রয়েছে একটি মুক্ত মঞ্চ । পার্কের পশ্চিম পাশে ডিসি লেক। দিনের বেশিভাগ সময় এই লেকের পাশে থাকে মানুষের আড্ডা। তবে মুক্ত মঞ্চ ব্যবহারের সুযোগ পায়নি বিএনপি। সমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে মাঠের পশ্চিম প্রান্তে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু উদ্যান ঘুরে দেখা যায়-পুরো মাঠে বড় বড় ঘাস। পানি ও কর্দমাক্ত মাটি। মাঠের পূর্বপান্তে জগ-টিউবয়েল দিয়ে পানি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। মাঠে ট্রাক ভর্তি বালি ফেলা হচ্ছে। সমাবেশের আয়োজকরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত ৯০ ট্রাক বালি ফেলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে পুরোমাঠে বালি ফেলা হবে। এজন্য ১৩০ ট্রাক বালি ফেলে মাঠ প্রস্তত করা হবে। আগামী ৭ই নভেম্বর সরকারের একটি বাহিনীর অনুষ্ঠান হবে মুক্ত মঞ্চের সামনে এজন্য সেখানে বাঁশ টানিয়ে রাখা হয়েছে। ৩ দিক দিয়ে মাঠে যাতায়াতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সারাদেশে নেতাকর্মী হত্যা, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে আগামীকাল দুপুর ২টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস পার্ক) বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। সমাবেশ সফল করতে বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। গণপরিবহন ও তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু উদ্যান এর চারপাশ পোস্টার ফেস্টুন ব্যানারে ছেয়ে গেছে।