শাহ আলম বলেন, ‘ঘরে আমার ২২ দিন বয়সের একটা সন্তান রয়েছে। ওর জন্য দুই দিন পরপর ২৫০ টাকা দিয়ে দুধ কিনে খাওয়াতে হয়। কিন্তু বর্তমানে আমার কর্ম না থাকায় আমি ব্যর্থ। অনেকের কাছে টাকা ধার চেয়েছি, কেউ আমাকে সহযোগিতা করেনি। মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে আমাকে আজও কোনো সহযোগিতা করা হয়নি।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের দেয়া লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক শাহ আলম।
বুধবার তার ২২ দিন বয়সী শিশুর দুধ কিনতে ব্যর্থ হওয়ায় জনসমক্ষে কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহ আলম।
এদিন সকাল ১০টার দিকে যশোরের শার্শার নিজামপুর বাজারে কান্নাজড়িত গলায় তিনি বলেন, ‘আমি একজন সিএনজিচালক। পরিবারের আমিই আয়ের একমাত্র ব্যক্তি। আমার চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার।
‘দীর্ঘদিন আয়ের পথ বন্ধ থাকলেও থেমে নেই সংসারের খরচ। সরকারের ডাকা লকডাউনে গত ২৩ জুন থেকে সড়কে আর গাড়ি চালাতে পারিনি।’
শাহ আলম বলেন, ‘এখন আমি সংসারের খরচ চালাতে ব্যর্থ হয়ে পড়েছি। কয়েকদিন এর-ওর কাছ থেকে ধার করে বাজার করলেও এখন আর তাও পারছি না।
তিনি বলেন, ‘ঘরে আমার ২২ দিন বয়সের একটা সন্তান রয়েছে। ওর জন্য দুই দিন পরপর ২৫০ টাকা দিয়ে দুধ কিনে খাওয়াতে হয়। কিন্তু বর্তমানে আমার কর্ম না থাকায় আমি ব্যর্থ। অনেকের কাছে টাকা ধার চেয়েছি, কেউ আমাকে সহযোগিতা করেনি। মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে আমাকে আজও কোনো সহযোগিতা করা হয়নি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে ঘটনাটি শোনার পর তাকে ডেকে বাচ্চার দুধ কেনার জন্য কিছু অর্থ দিয়েছি। পরে তাকে আরও সহযোগিতা করা হবে।’
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজাকে বলেন, ‘ওনার মোবাইল নম্বর আমাকে দিন। আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’