শ্রীপুর মডেল থানায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি
প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২২, ১১:১৫ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
হিরো আলমের বিরুদ্ধে রুবেল মুন্সী নামে এক তরুণকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে রুবেল মুন্সী গত শুক্রবার গাজীপুরের শ্রীপুর মডেল থানায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জিডির বিষয়টি জানতে শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে শ্রীপুর মডেল থানার ওসির সরকারি মোবাইল নম্বরে কল করা হয়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না, খোঁজ নিয়ে ১০ মিনিট পর জানাবেন। কিন্তু পরবর্তীতে আর ফোন ধরেননি।
জিডিতে হিরো আলমসহ তিজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অপর দুজনের নাম-লিমন ও শুভ। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া জিডিতে অজ্ঞাতনামাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, রুবেলের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মতলব থানার বড়ইলদা এলাকায়। তবে তিনি শ্রীপুরের চকপাড়ায় বসবাস করেন। তিনি এক সময় রাজধানীর রামপুরায় হিরো আলমের অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন। ২০২১ সালে তাঁর কাছ থেকে হিরো আলম ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি সাত মাসের বেতনের ৭০ হাজার টাকা হিরো আলমের কাছে জমা রাখেন। পরবর্তীতে তিনি মোট পাওনা ৯০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে হিরো আলম তালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে পাঁচ মাস আগে চাকরি ছেড়ে তিনি শ্রীপুরে চলে যান। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় হিরো আলমসহ কয়েকজন টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে রুবেলের কাছে শ্রীপুরে যান। টাকা দেওয়ার কথা বলে তাঁকে গাড়িতে তুলে একটি খোলা স্থানে নিয়ে টাকা দেবে না বলে জানান। একই সঙ্গে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তার ল্যাপটপ নিয়ে রাত ৩টায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জিডিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, রুবেল তার প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন না। মাঝেমধ্যে আসা-যাওয়া ছিল। রুবেল তার ল্যাপটপ অফিস থেকে চুরি করে নিয়ে যান। পরবর্তীতে তার পাঁচটি ইউটিউব চ্যানেল হ্যাকড করেন রুবেল। চ্যানেল ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে হিরো আলমের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার হিরো আলম শ্রীপুরের মাওনা পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে অভিযোগ করেন। পরে ক্যাম্পের এএসআই রফিকুল ইসলাম হিরো আলমকে নিয়ে রুবেলের ঠিকানায় যান। পুলিশের সামনে রুবেল তাকে ল্যাপটপ এবং একইসঙ্গে হ্যাকড করা তিনটি ইউটিউব চ্যানেল বুঝিয়ে দেন।
এই ব্যাপারে এএসআই রফিকুল ইসলাম বলেছেন, হিরো আলমের সঙ্গে তিনি রুবেলের কাছে গেছেন। রুবেলের অভিযোগ হিরো আলমের কাছে তিনি টাকা পান। টাকা দেয়নি বলে তার অফিস থেকে ল্যাপটপ নিয়ে চলে এসেছেন। অবশ্য ল্যাপটপটি হিরো আলমকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।