শৈলকুপার শেখরা গ্রামে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২০ বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট
প্রকাশ: ৮ আগস্ট, ২০২২, ৭:০৮ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল্লাহ বাশার, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখরা গ্রামে সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৬টি বাড়ি ভাংটুর ও লুটপাট চালানো হয়। পুলিশ এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে আনারুল, শামীম, আলাম, জিন্না, শাহাদত ও বাবুসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। এছাড়াও হামলাকারীরা শেখড়া গ্রামের ইনজার মোল্লা, ইউসুফ মোল্লা, রোজদার, বাশার, হাফিজ, শফিকুল, বাহাদুর, নুর মোহাম্মদ, আয়ুব মোল্লা, শফি, শাহিন শিকদার, ফজলু মন্ডল, নজরুল মন্ডল, হানিফ, লুৎফর, ফরিদুল ও পিকুলের বসতবাড়ীসহ ১৬টি বাড়িভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি উপজেলার১২ নং নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান মফিজ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।রোববার বিকেলে শেখরা বাজারে ফারুক হোসেনের সমর্থক মাখনকে মারধর করে মফিজ হোসেনের সমর্থকরা। এরই জের ধরে সোমবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এ সময় ভাংচুর করা হয় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মফিজ উদ্দিনের বলেন, ফারুকের সমর্থকরা বিনা উস্কানিতে তার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে বাড়িঘর লুটপাট করেছে। সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, আমার লোকজনকে মারধর করার পর এ ঘটনা ঘটেছে। মফিজের লোকজন আমার লোকের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনা শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।