ঈদের ছুটির তিনদিনে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৭ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১১জন নবজাতকসহ দুইজন শিশু রয়েছে।
হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ঈদের ছুটিতে শেবাচিম হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন ৩৮৩ জন রোগী স্বেচ্ছায় ছাড়পত্র নিয়ে বেসরকারী হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়েছেন। রোগীদের অভিযোগ, ঈদের ছুটিতে যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সূত্রমতে, গত ৯ জুলাই ১১৬ জন, ১০ জুলাই ১৬২ জন এবং ১১ জুলাই ১০৫ জন রোগী হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। ঈদের ছুটির মধ্যে স্বেচ্ছায় হাসপাতাল ত্যাগ করা তানজিম মাহামুদ নামের এক রোগীর ভাই সৈয়দ আবু বলেন, ঈদের আগেরদিন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আমার ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করি। কিন্তু চিকিৎসক না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে রিলিজ নিয়ে নগরীর রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করেছি।
শম্পা জাহান নামে আরেক রোগীর বোন হুমায়রা জাহান বলেন, আমার বোন রক্তশূন্যতার কারণে হঠাৎ অসুস্থ হয় ঈদের আগের দিন। শেবাচিম হাসপাতালে তাকে ভর্তির পর নার্স ছাড়া আর কাউকেই পাওয়া যায়নি। পরে বেসরকারী একটি হাসপাতালে নিয়ে বোনকে ভর্তি করেছি।
মৃত্যুর সংখ্যাটিকে স্বাভাবিক উল্লেখ করে বুধবার সকালে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ছুটির মধ্যেও হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা স্বাভাবিক ছিলো। ঈদের কারণে অনেকে স্বেচ্ছায় ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছেন। চিকিৎসা ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে কেউ হাসপাতাল ছেড়ে যায়নি।