বরগুনার বামনা উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে নির্যাতিত শিক্ষার্থী। এতে করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সে।
অন্যদিকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির আহবায়ক ও রামনা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জমাদ্দারের বিরুদ্ধে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওই ছাত্রীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকায় রফাদফা করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মঞ্জুরুল আলম হানিফ। তিনি বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা শের ই বাংলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষক। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে সপ্তম শ্রেণির সকল ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, রামনা শেরই বাংলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মঞ্জুরুল আলম হানিফের কাছে প্রাইভেট পড়ত তার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে। গত দুই মাস ধরে আর্থিক সমস্যার কারণে পাওনা টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এই দুর্বলতাকে পুঁজি করে ওই শিক্ষক গত ১৬ই জুলাই তার মেয়েকে আলাদা রুমে ডেকে শ্লীলতাহানি ঘটায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম জমাদ্দারকে জানানো হলে তিনি ওই শিক্ষকসহ তাদের রামনা ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন। পরে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান তাকে একটি কাগজ ধরিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া তার স্বামীর বড় ভাইর কাছে ৩০ হাজার টাকাও দেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জমাদ্দার এবং শিক্ষক মঞ্জুরুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে রামনা শের ই বাংলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসাইন বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি আমরা লোক মুখে শুনেছি। পরে ওই শিক্ষককে আপাতত সপ্তম শ্রেণির পাঠদান থেকে বিরত রেখেছি।