প্রতিবেদনে বাংলাদেশে চার ধরনের দূষণে মৃত্যুর সংখ্যার হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বায়ু, পানি, সিসা ও কর্মক্ষেত্রে দূষণের শিকার হয়ে এ দেশে মারা গেছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ জন।
দূষণে মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে প্রথম অবস্থানে ভারত। দেশটিতে মারা গেছে ২৩ লাখ ৫৭ হাজার ২৬৭ জন। বায়ুদূষণে মৃত্যুর দিক থেকেও ভারত শীর্ষে, তারপর যথাক্রমে বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানের অবস্থান।
পানিতে আর্সেনিক সমস্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ, ভারত ও চীন। পানিতে আর্সেনিকের কারণে ক্যানসার, কিডনিজনিত রোগ, হৃদ্রোগ ও স্নায়ুজনিত রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক রিচার্ড ফুলার বলেন, জনস্বাস্থ্যের ওপর দূষণ ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে। আর এই মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাবের বোঝা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো বয়ে বেড়াচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর বায়ু, সিসা ও রাসায়নিক দূষণ নিরসনের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে অতিদ্রুত জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বিশুদ্ধ, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যেতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি দাতা সংস্থাগুলোর পরিবেশদূষণ ব্যবস্থাপনার জন্য অর্থ বরাদ্দ করার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।