মামুনুর রশীদ নোমানী : ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার চল্লিশ কাহনিয়া হজী বাড়ি জামে মসজিদ সংলগ্ন কালিমা সম্বলিত তোরণ ও পুরাতন গোরস্থান উচ্ছেদের পরিকল্পনা শুরু করেছে স্থানীয় একটি মহল। এর প্রতিবাদে বুধবার দুপুর ২টায় সংবাদ সম্মেলন এবং বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
এ সময় বক্তব্য রাখেন মসজিদের মুতাওয়াল্লী মো. ফারুক হোসেন, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. ইউনুস আলী মোল্লা, স্থানীয় মুসল্লি ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব খলিলুর রহমান প্রমুখ।
এসময় স্থানীয় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বড়ইয়া ইউপি সংরক্ষিত নারী সদস্য ছালমা আক্তার, ইউপি সদস্য কবির হোসেনসহ শতাধিক লোকজন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে উল্লেখ করা হয় ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চল্লিশ কাহনিয়া গ্রামটি নদী ভাঙ্গন কবলিত একটি জনপদ। বছরের পরে বছর এলাকার মানুষ সুশৃংখলভাবে শান্তিতে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি একটি কুচক্রিমহল ও এলাকার শান্তি বিনষ্টকারী একটি দুষ্টচক্র ঐতিহ্যবাহী চল্লিশকাহনিয়া হাজী বাড়ি জামে মসজিদ এর কমিটি নিয়ে নোংরামী করছে। এর পরই মরহুম শাহ রুমীয়ান ফকিরের মাতা এবং পিতা মরহুম আজাহার আলীর অর্ধশত বছরের কবর ও লা ইলাহা ইলাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ,আল্লাহু, মুহাম্মদ লেখা পাকা তোরণ উচ্ছেদের জন্য ষড়যন্ত্রের পায়তারা করছে। তোরন, কবর ও মসজিদ মরহুম শাহ রুমিয়ান ফকিরদের দানকৃত জমিতে। তিনি আরো বলেন, ঐতিহ্যবাহী চল্লিশ কাহনিয়া হাজী বাড়ি জামে মসজিদ এর বর্তমানে কোন বৈধ কমিটি নাই। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ভুল বুঝিয়ে তাদের হস্তক্ষেপে স্বঘোষিত একটি অবৈধ কমিটি করে।
অবৈধ ও কথিত মসজিদ কমিটির কতিপয় দুষ্ট সদস্য মসজিদের নাম ব্যববহার করে অপপ্রচার ও শান্তি বিনষ্টের পায়তারা করছে। এসব লোকদের জমি বা অবদান কোনটাই নাই। অথচ তারা সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টির জন্য কাজ করছে এবং অপপ্রচার করে সুনাম নষ্ট করছে ঐতিহ্যবাহী মসজিদের। আমরা চল্লিশ কাহনিয়ার শান্তি প্রিয় লোকজন শান্তিতে বসবাস করতে চাই। একই সাথে গ্রামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ও ধর্মীয় বিষয় নিয়ে উস্কানী দিয়ে দাঙ্গা
লাগানো সৃষ্টিকারীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছি। তারা ধর্মের নামে বিষবাষ্প ছড়িয়ে যেকোন সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। চল্লিশ কাহনিয়া গ্রামের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে কবর , কালিমা তোরণ উচ্ছেদ ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং ধর্মীয় দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।