ঝালকাঠির রাজাপুরে জোয়ারের পানিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণাধীন ১১টি ঘরের অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় নদীপারের নিচু জমিতে ঘর নির্মাণ করায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়ির আঙিনা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এমন ঘর বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে। ফলে সরকারের এ মহতী উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২–এর আওতায় উপজেলায় ৩৩৩টি পরিবারকে এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণের ব্যয় রাখা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। উপজেলার দূর্গাপুর ব্যারাকে মোট ৪৬টি ঘর নির্মাণ চলমান। এর মধ্যে ১১টি ঘরের নির্মাণের শেষ পর্যায়ে অবোঠামো ভেঙে পড়েছে। ৪৬টি ঘরই নিচু জমিতে নির্মাণ করায় জোয়ারের পানিতে বাড়ির আঙিনা তলিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন সরাসরি নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধান করছে।
উপজেলা প্রশাসনের কাছে ঘরের জন্য আবেদন করা স্থানীয় বাসিন্দা মিয়া আবদুল খলিল বলেন, নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্প এলাকায় আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র এই তিন মাস জলাবদ্ধতা থাকে। আবার জোয়ারের পানিতেও সর্বত্র ভরে যায়। এই ঘরগুলো যাঁরা বরাদ্দ পাবেন, তাঁদের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোক্তার হোসেন বলেন, আবাসন প্রকল্প এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি উঠেছে। পরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যে ঘরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা মেরামত করে দেওয়া হবে।