সারা দিন সিয়াম (রোজা) পালনের পর ইফতারে রোজাদারের কাছে সবচেয়ে চাহিদা থাকে পানি ও শরবতের। তবে এবারের রমজানে সেই শরবত তৈরির প্রতিটি উপাদানের দাম বাড়ায় ব্যয় বেড়েছে শরবত পানে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, লেবু, চিনি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফলের ফ্লেবারের শরবত পণ্যের দাম রমজান মাসের আগেই এক দফা বাড়ানো হয়েছে।
বাজারে বর্তমানে প্যাকেটজাত ফলের শরবত পাউডার বিভিন্ন কোম্পানি ভেদে ৫০০ গ্রাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দাম বাড়ার আগে ছিল ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা।
বাজারে পাওয়া পাউডার শরবত প্যাকেটের মধ্যে ফস্টার ক্লার্ক ৫০০ গ্রাম ৩১০ টাকা, নিউট্রি-সি ৩৫০ গ্রাম ৩৬০ টাকা, ইস্পাহানি ইস্পি ৫০০ গ্রাম ২৮০ টাকা, ট্যাংক ৭৫০ গ্রাম ৬৫০ টাকা।
রমজানে শরবত পানে ব্যয় বেড়েছে
রুহ আফজা ৩০০ গ্রাম ২১০ টাকা ও ৭০০ গ্রাম ৩৬০ টাকা। ইসবগুলের ভুষির কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা, এর প্যাকেটে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। প্রতি পিস বেল আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকায়।
চিনির বাজারে দেখা যায়, খোলা সাদা চিনি কেজি ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৩০ টাকা। আখের গুড় ১৩০ টাকা। এ ছাড়া লেবুর হালি আকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইফতারের অন্যান্য উপাদানের মধ্যে কেজিপ্রতি দেশি শসা ৮০ ও হাইব্রিড ৬০ টাকা, টমেটো ৩০, মরিচ ৮০, পুদিনাপাতা কেজি ৩০০ ও পোয়া ৭০ টাকা।
তবে এবারের রমজানে ক্রেতাদের শরবত জাতীয় পণ্যে আগ্রহ কম বলে জানান দোকানিরা। চিনির দাম বাড়ায় এই অনিহা বলে মনে করেন তারা।
রমজানে শরবত পানে ব্যয় বেড়েছে
মিরপুর ১১-এর মোহাম্মদিয়া মার্কেটের দোকানি নিজাম বলেন, শুধু শরবত আইটেম না, অন্যান্য আইটেমেরও বিক্রি কমছে। আগে কেজি করে নিতো, এখন আধা কেজি করে কিনে নিচ্ছে। সবকিছুর পর শরবতের জন্য ট্যাংক কেনে; তাও কম দামে যেটা পাওয়া যায়।
বাজার করতে আসা ক্রেতা উলফাত নাজমুল বলেন, চিনির দামই তো বাকি জিনিসের বাজেট নিয়ে গেছে। সবকিছুর পর হাতে টাকা থাকলে ভালো মানের একটা শরবতের প্যাকেট নেওয়া যায়। সেই সুযোগ তো আর নাই।
দাম বাড়ায় লেবুর শরবতও এখন ব্যয়বহুল মন্তব্য করে তিনি বলেন, এক হালি লেবু ৩০ টাকা। তাও যে সাইজ, একটি লেবুতে এক গ্লাস শরবত হয় কি না দেখার বিষয়। এবার শুধু চিনি গুলায়া শরবত খাওয়া সবচেয়ে ভালো হবে।